নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাটের রূপালী চত্বরে বিকেল ৩টায় আ.লীগের দুই পক্ষ একই স্থানে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেললা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল হক মীর। রোববার রাতে ও সোমবার সকালে মাইকিং করে সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা করা করলেও পিকেটাররা রাস্তায় কাঠের গুড়ি ও গাছ ফেলে জনজীবনে দূর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল হক মীর স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্য ৬টা পর্যন্ত পুরো বসুরহাট পৌর এলাকা সর্বত্র এ আদেশ কার্যকর থাকবে। এদিকে নিষেধাজ্ঞা জারি পরপরই রোববার রাত ১১টার পর থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে ডিবি পুলিশ, দাঙ্গা পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে শনিবার দুপুর সংবাদ সম্মেলন করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল সোমবার ৩টায় বসুরহাট বাজারের রূপালী চত্বরে বাংলাদেশ আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ সমাবেশের আহ্বান করে। পরে একই স্থানে সোমবার ৩টায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সাংবাদিক মুজাক্কিরকে হত্যার প্রতিবাদে শোকসভা ও মিলাদ মাহফিলের ঘোষণা করেন। শুক্রবারে বিকেলে আ.লীগের উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে বাংলাদেশ সমাচার কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির গুলিবিদ্ধ হন। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।
রোববার রাত সাড়ে ৮টায় কোম্পানীগঞ্জের চরফকিরা ইউয়িনের পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। সোমবার সকাল থেকে পৌর এলাকায় পিকেটাররা রাস্তায় কাঠের গুড়ি ও গাছ ফেলে রাখে। এতে জনদূর্ভোগে পড়ে সাধারণ জনগণ।
এ ব্যাপারে বসুরহাট পৌলসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সোমবার সকাল ৯টায় আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় বলেন, ফেনীর তথাকথিত এমপি নিজাম হাজারী ফুলগাজি উপজেলা পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান একরামকে যেভাবে প্রকাশ্যদিবালোকে গুলি করে গাড়িতে ঢুকিয়ে পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, ঠিক সেইভাবে মাদক স¤্রাট সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল মুজাক্কিরকে চাপরাশিরহাট বাজারে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকান্ড একই সূত্রে গাঁথা।
অপরদিকে মিজানুর রহমান বাদল বলেন, অত্যান্ত দূঃখের বিষয় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা মুজাক্কিরের জীবন নিয়েও ক্ষান্ত হননি, তিনি আরও রক্ত চান।