পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম কামরুজ্জামান খোকনের বিরুদ্ধে একটি চক্র অপপ্রচারে নেমেছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকন।
জানা গেছে,সম্প্রতি নিমাইচড়া ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামের দরিদ্র তিনজন নারী-পুরুষকে অর্থ ও কম্বলের লোভ দেখিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তৈরি করে বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে,২ বছর আগে ইউপি চেয়ারম্যান বহরমপুর গ্রামের সুদেপ হলদার,পরেশ চন্দ্র দাস ও তার স্ত্রী মহামায়া দাস ও সোনেকা খাতুনকে সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে ৫-১০ হাজার টাকা নিয়েছেন। কিন্তু কোন ঘর দেননি। তবে অভিযোগকারী ওই তিন ব্যক্তি কোনদিন স্থানীয় প্রশাসন কিংবা কারো কাছে কোন অভিযোগ দেননি।
সরেজমিন গিয়ে অভিযোগকারী ওই তিন ব্যক্তিসহ এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়,এলাকার রুবেল নামের এক ব্যক্তি ও জনৈক এক সাংবাদিক দরিদ্র ওই তিনজনকে কম্বল ও অর্থের লোভ দেখিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাঁড় করায়। সুদেপ হলদার,মহামায়া দাস ও সোনেকা খাতুন জানান,তাদেরকে অর্থ ও কম্বলের লোভ দেখালে তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার মিথ্যে কথা বলেন। এই কথা মোবাইলে রেকর্ড করাসহ ছবি তুলে নেওয়া হয়েছে। তারা আরো জানান,গত রোববার সন্ধ্যায় রুবেলসহ আন্যরা এসে তাদের কাছ থেকে ঘর দেওয়ার কথা বলে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে গেছে। তারা বলেন,আমরা কোনদিন,কথনও চেয়ারম্যানকে কোন টাকা-পয়সা দেই নাই। লোভে পড়ে মিথ্যে বলেছি। আমরা গরীব মানুষ,টাকা কোথায় পাবো।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকন বলেন,আগামী ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার প্রতিপক্ষ এসকল অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা আমার বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত চক্রান্ত। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তার ন্যূনতম কোন সত্যতা নেই। আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।