বাংলাদেশ,ভারত সীমান্তে অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্য হ্্রাসে বর্ডার হাটের ভুমিকা’স্থানীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ কারীদের পরামর্শ গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির জন্য আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার বেলা ১০টায় কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী বর্ডার হাট মোড়ে উন্নয়ন সমন্বয় রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন সমন্বয় ও ভারতের কার্টস ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে ও ইউকেএআইডির অর্থায়নে গবেষনা প্রকল্পটি আলোচনা সভার আয়োজন করেন। বর্ডার হাট ভেন্ডার সভাপতি আলহাজ¦ সুরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আলম বাদল,উন্নয়ন সমন্বয় ,ঢাকা’র সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ড. মাহবুব হাসান,উপজেলা কৃষি উপ-সহকারি কর্মকর্তা আবদুর রশিদ ও স্থানীয় সাংবাদিক আতাউর রহমান। আলোচনা সভায় ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, কোভিড-১৯ এর কারণে দীর্ঘদিন বর্ডার হাটটি বন্ধ রয়েছে। ফলে বেকার হয়ে পড়েছে অত্র সীমান্তে মানুষ। করোনার সুরক্ষার ব্যবস্থা করে বর্ডার হাটটি চালু করার আহবান জানিয়েছেন। বালিয়ামারী বর্ডার হাটের ক্রেতা ফরজ আলী, তারা মিয়া ও ফরিজল হক জানান, বাংলাদেশের অনুমোদিত ৭০টি পণ্য এবং ভারতের অনুমোদিত ৬৯টি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের কথা থাকলেও শুধু ২টি পণ্য বর্ডার হাটে বিক্রি হত। বাংলাদেশ থেকে যেত খাওয়ার অযোগ্য শুকনো সুপারি আর ভারত থেকে আসত মজা সুপারি। কিন্তু ২০১১ সালে যখন বর্ডার হাট চালু হয় তখন প্রায় অনুমোদিত সকল স্থানীয় কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয় হত। কিন্তু ু রহস্য জনক কারণে বন্ধ হয় এবং শুধু সুপারির হাটে পরিনত হয়। বর্ডার হাটের সেড গুলোর দুরাবস্থা,সুপেয় পানির সমস্যা,টয়লেট সমস্যা,খুচরা পণ্য বিক্রির অনিহা, রাস্তা-ঘাট মেরামত,নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ, হাটে ব্যাংক ব্যবস্থার চালু করণ,হাটে অধিগ্রহণকারী জমির মালিকদের জন্য নতুন কার্ডের ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন দাবী তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া নারীদের হাতের তৈরি পণ্যসামগ্রী,হাটে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো, পণ্য তালিকায় স্থানীয় আরও কৃষি পণ্য অন্তর্ভুত করার সুপারিশ কার হয়। তবে স্কুল -কলেজ না খোলা পর্যন্ত, বর্ডার হাট চালু না করার আহবান জানিয়েছেন সুধী মহল।