রাজশাহী পুঠিয়ায় উপজেলা পরিষদের ২৫টি সরকারি আবাসিক বাসভবনে কোনো কর্মচারী কর্মকর্তারা বসবাস করে না। যে কয়জন কর্মকর্তারা বসবাস করছে। তারা আবার দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা কোষাগারে বাসা ভাড়া বাবদ কোনো টাকা জমা না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কর্মকর্তারা বলছে,জাতীয় পর্যায়ে তাদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে সরকারি বাসভবনে বসবাস করলে,তাদের বাসা ভাড়া বেশি কেটে নেয়া হবে। তারপর সরকারি বাসার চেয়ে বাহিরের বাসাগুলি অনেক আধুনিক ভাবে বসবাস শুধু একারণে, বর্তমানে উপজেলা পরিষদের সরকারি বাসভবনগুলি র্দীঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের পশ্চিম দিকে সরকারি ১৬টি আবাসিক পাকা বাসভবন রয়েছে। ১৬টি ভবনের ভেতর ৪টি ভবন বসবাস যোগ্য হওয়ায়,দীর্ঘদিন ধরে একটিতে বসবাস করছে,উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রোমানা আফরোজ। বাকি ২টি ভবন মহিলাদের প্রশিক্ষক কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। বাকি ৯টি টিনসেড দিয়ে তৈরি করা বাসাগুলি,উপজেলা পরিষদের কৃষিভবনের সামনে রয়েছে। বর্তমানে টিনসেড এবং পাকা ভবনগুলিতে কিছু কর্মচারী বিনামূল্যে বসবাস করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। আবাসিক ভবনগুলি সরকারি কর্মচারি,কর্মকর্তারা বসবাস না করা জন্য, রাতের আঁধারে এলাকার কিছু দুর্বৃত্তরা অনৈতিক কার্যকল্পপ করে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা পরিষদের একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ২৫টি ভবন হতে সরকারিভাবে উপজেলার কোষাগারে বাসা ভাড়া বাবদ কোনো টাকা জমা পড়ে না। তাদের একাধিকবার বলার পরও কর্মকর্তারা ভাড়া বাবদ টাকা জমা দেয়নি। এতে করা সরকারে রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। ২০১৫ সালে সরকারি কর্মচারি, কর্মকর্তাদের বেতন ভাতাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগে বেতন ভাতা কম ছিল। তখন সরকারি বাসভবনগুলোতে বসবাস করলে,তাদের অর্থের ক্ষতি হতো না। এখন বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমান সরকার বাসা ভাড়া বাবদ যে টাকা দেয়। সেই টাকা দিয়ে বাহিরে অনেক আধুনিক ভাবে বসবাস যাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তারা বলছে,র্দীঘদিন পূর্বে উপজেলা পরিষদের আবাসিক ভবনগুলি নির্মাণ করা হয়ে ছিল। প্রায় সবগুলিই বর্তমানে বসবাসের অযোগ্য ও পরিত্যক্ত হয়ে পরে রয়েছে। পুরাতন ভবনগুলি ভেঙে ওই স্থানে নতুন আধুনিকমানের আবাসিক ভবন নির্মাণ করলে। আমরা যারা আবাসিক ভাবে বাহিরে বসবাস করি। তারা পূর্ণরায় উপজেলা পরিষদের আবাসিক ভবনগুলোতে বসবাস করতে পারব। উপজেলা পরিষদের ক্যাম্পসের ভেতর শুধু ভালো বাসা না থাকার কারণে,আমরা বাধ্য হয়ে বাহিরে বসবাস করতে হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজনৈতিক নেতা বলেন, সরকারি কর্মচারি, কর্মকর্তাদের বর্তমান সরকার এত সুযোগ-সুবিধা দেয়ার পর, বেশি লাভের আশায়। তারা বাহিরে থেকে টাকা বাঁচানোর চেষ্টা করছে। বেতন ভাতা বেশি করে কী লাভ হয়েছে। তারপর অবৈধ ঘুষ নেয়া কমেনি। যারা দীর্ঘদিন বাসাবাড়ি ভাড়া না দিয়ে আছেন। তারা দেশের এবং জনগনের মঙ্গল চাই না। বেশ কিছু দিন আগে প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবনে কর্মকর্তাদের থাকার জন্য আদেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সরকারি আবাসিক ভবনের সভাপতি জি এম হিরা বাচ্চু বলেন, যারা সরকারি বাসভবনে আছেন। তাদের ভাড়া দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে নোটিশ করা হয়েছে। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রোমানা আফরোজ দীর্ঘদিন ভাড়া না দিয়ে থাকার ব্যপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সরকারি ভবনে থাকার জন্য তিনি একটি এগ্রিমেন্ট করেছেন। অবশ্যই তাকে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।