নীলফামারীর সৈয়দপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এটি ঘটেছে ২৪ ফেব্রুয়ারি শহরের কাজী হাট এলাকায়। লিখিত অভিযোগে জানা যায় ওয়ারিস সুত্রে সাড়ে ১৩ শতক জমির মালিক ওই এলাকার আইনুল হক। সে অনুযায়ী ওই জমি তিনি ভোগ দখল করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে। তাছাড়া দখল থাকা অবস্থায় ওই জমি নিয়ে বিবাদীর সাথে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত নীলফামারীতে মামলা চলমান রয়েছে। ওই মামলার বিষয়ে আদালত চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদির পক্ষে আদেশ দেন। এর ফলে বিবাদী আবদুস সামাদ,ছাবেদুল ইসলাম,জালাল উদ্দিন, জয়নুল ইসলাম, জুয়েল ইসলাম সকলের পিতা আবুল হোসেন। এছাড়াও মকবুল হোসেন, আফুজা বেগম, জাহানারা খাতুন, জিন্না খাতুন, আবদুল মজিদ, মনোয়ারা বেগম, হোসনে আরা, শিরিন আক্তারসহ আরো অনেকে বল্বম, বাশের লাঠি, লোহার রড হাতে নিয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ওই জমিতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে তা জবর দখলের চেষ্ঠা করে ব্যর্থ হয়। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি তারা দলবদ্ধভাবে আবার ওই ঘেড়া জমির টিনের বেড়া, প্রাচীর ভাংচুর করে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের বাধাঁ দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীর লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রানে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে চলে যায়। তারা দূর্দান্ত প্রকৃতির হওয়ায় এ দৃশ্য এলাকার লোকজন শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেন। অভিযোগকারী আইনুল হক জানান বর্তমানে ওই জমিতে আমি বসতবাড়ি তৈরী করছি। তারা জোটবদ্ধ হয়ে আমার নির্মানকৃত বাড়ীর সমস্ত বেড়া চাটি ভেঙ্গে তছনছ করে তা নিয়ে যায়। এতে আমার প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। পরে বিষয়টি সৈয়দপুর থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদেরকে মিমাংসার জন্য থানায় ডাকেন। বর্তমানে বাদির পরিবার বিবাদীর ভয়ে আতঙ্কে রয়েছে বলে জানান তার পরিবার।
এ ব্যাপারে সদর ফাড়ির ওসি আবদুর রহিম জানান, ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তাই উভয় পক্ষকে থানায় কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে।