নোয়াখালীর সেনবাগ পৌরসভার উন্নয়ন কাজের বাঁধা সৃষ্টি করার অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে সেনবাগ পৌরসভার মেয়র আবু জাফর টিপু। বুধবার (২৪ ফেব্রুযারি) দুপুর সাড়ে ১২টারদিকে পৌসভার সামনে অনুষ্ঠিত ওই সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারী আবু জাফর টিপু। এ সময় সাংবাদিক সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন সেনবাগ পৌরসভার বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী ফারুক বাবুল, সেনবাগ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমান উল্লা,পৌরসভার কাউন্সিল ও প্যানেল মেয়র-২ খোরশেদ আলম।
লিখিত বক্তব্যে মেয়র আবু জাফর টিপু জানান, ২০০২ সালে সেনবাগ পৌরসভার প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ২০০৩ ভবন নির্মানের জন্য পৌরসভার আমতলী নামকস্থানে ১ একর ৫৭ শতাংশ জেলা প্রশাসক কর্তৃক অধিগ্রহন করা হয়। পরবর্তীতে ৮/৮/২০০৪ইং জমির মূল্য বাবত জেলা প্রশাসকের হিসাব খাতে সেনবাঘ পৌর সভার পক্ষ থেকে ভূমির মালিকদের জন্য ক্রস চেকের মাধ্যমে ১৩লক্ষ, ৯৩হাজার,৫শত ৩৫ পয়সা মূল্য পরিশোধ করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসক ২০০৪ সালে ২৫ অক্টোবর অধিগ্রহনকৃত জমিনের টাকা গ্রহণের জন্য ভূমির মালিকদের পত্র প্রেরণ করে। কিন্তু ভূমি মালিকরা ওই টাকা গ্রহন না করে জেলা যুগ্ম জজ আদালতে মামলা করে। ওই মামলাটি পরবর্তীতে ২০০৫ সালে হাইকোট বিভাগে স্থানান্তর করে বর্তমানে মামলাটি চলমান।
মেয়র আরো বলেন, পৌরসভা ভবন, পানি শোধনাগার সহ নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্প ,ড্রেনেজ ও রাস্তা নির্মাণে ১২০ কোটি টাকার বরাদ্দ আসে। ওই কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু অধিগ্রহনকৃত ভূমিতে কাজ করতে গেলে কিছু সার্থনেষী মহলে ইন্ধনে অধিগ্রহনকৃত ভূমির মালিকরা কাজের বাঁধা গ্রস্থ করছে বলে জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সেনবাগ বাজার ব্যবসায়ী কণ্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আবদুল্লহ আল মামুন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ১ সাখাওয়াত হোসেন সেলিম,পৌরসভার সচিব জাকির উদ্দিন, বিএনপি নেতা ইফসুফ,রহিমউল্লাহ চৌধুরী, সুজন, যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান সালাউদ্দিন লিটন, পল্লী বিদুৎ সমিতির পরিচালক আশ্রাফুল আলম রানা, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী ফুটন, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক দিদারুল আলম দিদার, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।