অবৈধভাবে সোমেশ্বরি নদী থেকে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এতে ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামবাসী। ভেঙে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। চলাচলের সড়কটিও বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। চরম ভোগান্তি শিকার হচ্ছেন গ্রামের বসবাসকারী ও সীমান্তে চলাচলকারীরা।
গ্রামের বৃদ্ধ আলমাছ আলী বলেন, 'নদী থাইকা বালু তুলছে। এর লাইগা রাস্তাডা ভাইঙা নদীতে গেছে। অহন মেলা ঘুইরা আসি। ওই রাস্থা দিয়ে বালু নেওয়া হয়। ট্রলি আর মাহিন্দ চলাচলে এডাও নষ্ট অইয়া গেছে।'
গ্রামবাসীরা জানান, ভারতের সীমান্ত এলাকার ১০৯৭ পিলারের পাশ দিয়ে নেমে আসা সোমেশ্বরি নদী থেকে দীর্ঘদিন যাবত চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। স্থানীয় একটি চক্র গ্রামবাসীদের বাধা উপেক্ষা করে ২৫/৩০টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। এতে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। নদীর পাড় ভেঙে বদলাচ্ছে নদীর গতিপথ। ভাঙনের কবলে পড়ে কয়েকটি বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে অভিযোগ দিয়েছি। কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এজন্য জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে জানিয়ে প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মনজুর আহসান বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এরপরও যদি কেউ বালু উত্তোলন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।