২১ সদস্যের সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন জেলা ছাত্রদল। এতে আওয়ামী লীগ নেত্রী বেবী ইয়াছমিনের বিবাহিত ছেলে ও পুলিশ অ্যাসল মামলার পলাতক আসামি এম রিফাত বিন জিয়াকে করা হয়েছে আহবায়ক। তার বিরূদ্ধে রয়েছে একাধিক বিবাহের অভিযোগ। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে ঢাকার বাসিন্ধা ব্যবসায়ি মো. আমান উল্লাহকে। আমানের বিরূদ্ধে রয়েছে অছাত্রত্বের অভিযোগ। গত ২৪ জানুয়ারি বুধাবার এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওইদিন রাতেই অবৈধ ও পকেট কমিটির অভিযোগ এনে রিগানের নেতৃত্বে ছাত্রদলের একটি গ্রƒপ। রাত ১০টার দিকে মিছিল শেষে পথ সভা চলাকালে ওই কমিটিরই যুগ্ম আহবায়ক-২ মোস্তাকিমুর রহমান ও সরাইল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ খন্দকার রিগানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, এক বছর আগে সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি ভেঙ্গে দিয়েছে জেলা ছাত্রদল। চলে গেছে এক বছরেরও অধিক সময়। কোন সভা নেই। সম্মেলন নেই। হঠাৎ করে আচমকা জেলা ছাত্রদল কর্তৃক অনুমোদিত দলীয় প্যাডে ২১ সদস্য বিশিষ্ঠ সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির ওই কাগজটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও মূহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি জেনে ক্ষোভে রাজপথে নেমে পড়ে রিগানের নেতৃত্বে ছাত্রদলে একাংশের নেতা কর্মীরা। তারা ঘোষিত কমিটিকে অবৈধ, গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও মনগড়া পকেট কমিটি অভিহিত করে মিছিলে নেমে পড়ে। সকাল বাজার থেকে মিছিল করে হাসপাতাল মোড় হয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পথসভা করে। পথ সভায় তারা রিফাত ও আমানকে অছাত্র উল্লেখ করে এ কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে। সেই সাথে বক্তারা বলেন, রিফাতের মা বেবী ইয়াছমিন সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির ৩০ নম্বর সদস্য। এ রিফাত নিজ গ্রামে ও নবীনগরে ২টি বিয়ে করেছেন। এ ছাড়া আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব দু’জনেরই ছাত্রত্ব নেই। কিভাবে? কেন? কার স্বপ্ন পূরণের জন্য বিবাহিত ও অছাত্রদের দিয়ে এখানে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে? কেন রানিং ছাত্র, রাজপথের সৈনিক ও ত্যাগী ছাত্র নেতাদের বাদ দেয়া হয়েছে? এটা সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের মাে নেতা কর্মীরা জানতে চাই। রাত ১০টার দিকে ওই সভা থেকে পুলিশ রিগান মোস্তাকিনকে গ্রেপ্তার করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তারা জামিনে বেরিয়ে আসেন। সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন উজ্জ্বল বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিবাহিত অছাত্র ছাত্রদলের কমিটিতে আসতে পারেনা। রিফাত সন্ত্রাসী, নারীনির্যাতন, পুলিশ অ্যাসল সহ একাধিক মামলার পলাতক আসামী। সে আ.লীগ গড়ানার ছেলে, অছাত্র ও বিবাহিত। তার উকিল পিতা এমপি’র ছেলে মাঈনুল হাসান তুষার। কিভাবে এমপি আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ও তার ছেলে রিফাতকে অবিবাহিত লিখে কেন্দ্রকে প্রত্যয়ন দিলেন? তিনি কেন্দ্র তথা তারূণ্যের অহঙ্কার তারেক রহমানকে ভুল বুঝিয়ে কাউকে না জানিয়ে অবৈধভাবে কমিটি গঠন করিয়েছেন। কমিটি গঠনে মোটা অংকের টাকা লেনদেন হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফুজায়েল চৌধুরী ছাত্রদলের গঠনতন্ত্রে কোন অছাত্র ও বিবাহিতের স্থান কমিটিতে নেই। সরাইলের কমিটিটি কেন্দ্রের নির্দেশে করা হয়েছে। আমরা এর বেশী কিছু জানি না। তবে এখন ফেসবুকে রিফাতের দেয়া তার বিয়ের ছবি এখন দেখা যাচ্ছে। আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন প্রমাণও নেই।