এবার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে মাসব্যাপী আয়োজন ঘোষণা করেন। যেখানে ৭ই ও ২৫শে মার্চেও কর্মসূচি রাখা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ ও ২৫শে মার্চ কালরাতের জাতীয় গণহত্যা দিবস এতদিন পালন করেনি বিএনপি। এবার প্রথমবারের মতো এই দুটি দিবস পালন করবে দলটি।
বিএনপি নেতারা বলছেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে রাজনৈতিক গণ্ডি থেকে বের হয়ে সর্বজনীন করার জন্যই মাসব্যাপী নানা আয়োজন রাখা হয়েছে, যাতে দেশের সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করতে পারে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্ষমতাশীল দলতো জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকারই করে না। তারা তার খেতাব বাতিলের জন্য অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। সুতরাং আওয়ামী লীগ কি বললো আমাদের কিছু যায় আসে না। বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের দল, আমরা আমাদের মত করেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপির কর্মসূচিতে ৭ই মার্চ ও ২৫শে মার্চ আলোচনা সভা করার কথা জানানো হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমরাতো অনেক আগে থেকেই ২৫শে মার্চ কালোরাত্রি হিসেবে আলোচনা করি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে যেসব গুরুত্বপুর্ন দিন আছে সেই হিসেবে ৭ই মার্চও আমরা পালন করবো। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ যদি ইতিবাচক হয় তাহলে ভালো।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালনে বিএনপির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি শাসনামলে রেডিও-টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ কার্যত নিষিদ্ধ ছিল। ২০১৭ সালে ইউনেসকো ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।