নোযাখালীর সেনবাগে ১৩৭ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এতে বাদ পড়েছে ৫২ জন, দ্বিধাবিভক্ত সিন্ধান্ত ৮জনের বিরুদ্ধে, স্বাক্ষাতকারে অনুপস্থিত ১৬ জন ও স্বাক্ষী হাজির করতে পারেনী একজন।
গত ৬,৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি সেনবাগ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ১৩৭জ বীরমুক্তিযোদ্ধার যাচাই বাছাই হয়। ওই যাচাই বাছাই কমিটিতে সভাপতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেনÑজাতীয় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি (জামুকার) প্রতিনিধি সেনবাগে মুজিব বাহিনীর প্রধান বীরমুক্তিযোদ্ধা এবিএম ফারুক ভূঁইয়া,সরকারের পক্ষে সদস্য সচিব হিসাবে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম মজুমদার ও তার সহযোগী সমাজসেবা কর্মকর্তা নাছরুল্লাহ আল মাহমুদ, স্থানীয় এমপির প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুর মোরশেদ আলম ও মাষ্টার এবি সিদ্দিক।
এ সময় কমিটির সদস্যরা প্রকৃত বীরমুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই করার জন্য তাদের স্বাক্ষতকার নেয়। এ সময় কমিটির সদস্যরা অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা,মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীদের স্বাক্ষাকাত গ্রহণ করে। একই সময় তিনি যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তা সনাক্ত করার জন্য তার সঙ্গে যুদ্ধ করা দুইজন সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাক্ষাতকার ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত গল্প শুনে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের চিহিৃত করা হয়।
ওই যাচাই বাছাইয়ে ১৩৭জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্য থেকে ৮৪ জনকে প্রকৃত বীরমুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সনাক্ত করা হয়। ৫২জন মুক্তিযোদ্ধা নিজেদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে প্রমান করতে পারেনী।
বাদ পড়াদের মধ্যে রয়েছে বেসামরিক ক্যাটাগরিতে ৪০জন, সামরিক বাহিনীর ক্যাটাগরীতে ৪জন ও নৌ বাহিনীর ক্যাটাগরীতে ১জন রয়েছে। এদেরমধ্যে যাচাই বাছাই কমিটির সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সামরিক বাহিনীর ১জন ও বেসামরিক বাহিনী ৭ জনকে সনাক্ত করতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে এবং একজন বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা তার পক্ষে কোন স্বাক্ষী উপস্থিত করতে পারেননী।
ইতিমধ্যে যাচাই বাছাইকৃত বীরমুক্তিযোদ্ধা ও বাদ পড়াদের তালিকা ইতোমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রালয়ের ওয়েব সাইডে প্রকাশিত হয়েছে। এবং প্রকাশিত ওই তালিকা সেনবাগ উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে জনসাধারণর নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম মজুমদার।