কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মহাসড়কের পাশের সরকারি সম্পত্তি দখল করে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপণা। স্থানীয় প্রভাবশালীরা একের পর এক স্থাপণাগুলো নির্মাণ করলেও দেখার যেন কেউ নেই।
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদীর আশোকাঠী থেকে বার্থী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মহাসড়কের পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা নির্মাণের চিত্র। সরেজমিনে দেখা গেছে, গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন গয়নাঘাটা পুরনো ব্রিজের উত্তর পাশে মহাসড়কের পাশ্ববর্তী সরকারি সম্পত্তি দখল করে একাধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন স্থানীয় সন্তোষ সাহা, মরন সাহা ও গোপাল সাহা সহ অন্যান্যরা। আশোকাঠী শারমিন ক্লিনিকের পশ্চিম পাশে মহাসড়কের পাশেই একাধিক দোকান ঘর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও গয়নাঘাটা পুরনো ব্রিজ ও সড়কের উপর ইট, পাথর আর গাছের গুড়ো ফেলে দখল করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। অপরদিকে বার্থীর সাউদেরখাল ব্রিজের দক্ষিণ পাশে সড়ক জনপথ বিভাগের জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় আলতাফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি।
স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী মহল অব্যাহতভাবে এসব স্থাপণা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখলেও রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে কেউ এগিয়ে আসেননি। এমনকি আশোকাঠী ফিলিং স্টেশনের সামনে সরকারি সম্পত্তি দখল করে নির্মানাধীন অবৈধস্থাপনা এশাধিকবার গুড়িয়ে দেয়া হলেও রহস্যজন কারণে তা আবার পূর্বের ফিরে এসেছে।
এ বিষয়ে স্থাপনা নির্মানকারীরা জানান, সড়ক জনপথ বিভাগের জমি দখল নয় বরং তাদের নিজেদের জমির উপর দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য চিঠিপত্র দেয়া হয়েছে। স্থাপনা নির্মানকারীরা নিজ দায়িত্বে স্থাপনাগুলো সরিয়ে না নিলে উচ্ছেদ করা হবে।