প্রথম আলো কসবা বন্ধুসভা, সার্চ ও ওডিপি’র উদ্যোগে শুক্রবার ফুড প্যালেস রেস্টুরেন্টে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নকশি পিঠা, মাছ পিঠা, কসমস পিঠা, পোয়া পিঠা, ঝিনুক পিঠা, মালাই সুজি পিঠা, নারিকেল পুড়ি পিঠা, পাকন পিঠা, শিড়িশ পিঠা, দুধ বকুল ফিটা, তেজপাতা পিঠা, টিপ পিঠা, লুনতা পিঠা, দুধ পুলি পিঠা, ক্ষিরসা পাটি পিঠা, শর্সের ভর্তা পিঠা, ছিটা পিঠা, মচমচ পিঠা বিস্কুট পিঠা ইত্যাদি বাহারী নামে উৎসব মুখর পরিবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
পিঠা উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রথম আলো কসবা প্রতিনিধি মো. সোহরাব হোসেন। পিঠা উৎসবে বন্ধুসভার পুরানো ও নতুন বন্ধুদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
পিঠা উৎসবে অতিথি ছিলেন অর্গানাইজেশন ফর ডেস্টিট্রিউট পিপলস (ওডিপি) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আজিজুল ইসলাম, কসবা উপজেলা সার্চের সভাপতি রাকিবুল হক, কসবা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী মো. বাবুল, প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি মো. সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, সাবেক সভাপতি আইনজীবী মো. ইয়াকুব আলী আনসারী প্রমুখ।
সুসজ্জিত নানা রকমের পিঠা প্রদর্শনের মধ্যে দিয়ে পিঠা উৎসবের সুচনা হয়। পিঠা উৎসবে বিভিন্ন জাতের পিঠা তৈরী করে বিক্রির জন্য ষ্টলে সাজিয়ে রাখা হয়। শাওন পিঠা ঘর, আমেনা আদনিন পিঠাঘর, লিজা পিঠাঘর, পলি পিঠা ঘর, ঝাল টক মিষ্টি পিঠাঘর ও রিমা পিঠাঘর নামের ছয়টি পিঠা ঘর নামে নিজেরা পিঠা তৈরী করে প্রদর্শনীতে নিয়ে আসে।
পরে পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে। সর্বাধিক পিঠা প্রদর্শনের মধ্যে দিয়ে ঝাল টক মিষ্টি পিঠা ঘরপ্রথম স্থান অর্জন করেছেন। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন শাওন পিঠাঘর এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন লিজা পিঠাঘর। তাদের প্রত্যেকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে দেওয়া হয়েছে শান্তনা পুরস্কার।
পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণকারী রিমা আক্তার বলেন, পিঠা উৎসবকে কেন্দ্র করে অনেক দিন আগে থেকে বাড়িতে পিঠা তৈরি করেছি। এতে করে পিঠা উৎসবের মাধ্যমে আনন্দ উপভোগ করা যায়। দীর্ঘদিন পর পুরানো ও নতুন বন্ধুদের সাথে দেখা হয়েছে।
বন্ধুসভার সভাপতি মো. সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন বলেন, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুসভার সদস্যদের সাথে দেখা স্বাক্ষাত সম্ভব হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে এ পিঠা উৎসব করা হয়েছে।