খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার লাখোহাটি মধ্যপাড়া হাট এলাকা থেকে গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারী রাত আটটার পর থেকে নিখোঁজ ছিল তরিকুল ইসলাম মোল্লার ছেলে তামিম মোল্লা (৭) সারারাত ও তার পরদিন বিকাল পর্যন্ত মাইকিং করে খোঁজা হচ্ছিল শিশু তামিম মোল্লাকে। গত ২৬ শে ফেব্রুয়ারী বিকাল আনুমানিক চারটায় তার নিজের বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার ভেতরে বিলের মধ্যে একটি ডোবা থেকে হাত -পা বাঁধা, মুখের ভেতর গেঞ্জি ঢুকানো শিশু তামিমের লাশ খুঁজে পায় দিঘলিয়া থানা পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর থেকে এডিশনাল এসপি হেডকোয়ার্টার মামুন অর রশিদ ও এএসপি সার্কেল রাজু আহমেদ উপস্থিত থেকে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সিআইডি খুলনা ব্যুরো, ডিবি পুলিশ, ্র্যাব, দিঘলিয়া থানার পুলিশ সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা হত্যাকান্ডের প্রকৃত তথ্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতারে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে বলে জানা গেছে। তামিম মোল্লা হত্যার ঘটনায় নিহতের মা জাহানারা বেগম কলি (৩১) বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে ধারা ৩০২, ২০১, ৩৪ পেনাল কোর্ট অনুযায়ী দিঘলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ৯, দিঘলিয়া থানা তারিখ ২৭/০২/২০২১। নিহত শিশু তামিম মোল্লা স্থানীয় লাখোহাটি দারুল উলুম মাদ্রাসার শিশু শ্রেনীর ছাত্র ছিল। হত্যাকান্ড সম্পর্কে দিঘলিয়া থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ আহসানউল্লাহ চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, থানার ওসি তদন্ত রিপন সরকার, সেকেন্ড কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ সহ থানার কর্মরত সকলে একযোগে কাজ করছেন। খুব তাড়াতাড়ি হত্যাকান্ডের মোটিভ উন্মোচিত হবে। ২৭ শে ফেব্রুয়ারী শনিবার বিকালে শিশু তামিমের জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।