গাইবান্ধা শহরে রোববার সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপি পৌর শহরের বাস টার্মিনাল থেকে ১নং রেলগেইট এর পূর্বে ট্রাফিক মোড় পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তার দু’পাশের জায়গা উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফিরোজ আখতার।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামন থেকে পুরাতন জেলখানা মোড় পর্যন্ত সড়কের রাস্তা প্রশস্ত করণ কাজের জন্য বাস টার্মিনাল থেকে ১নং রেলগেইট এর পূর্বে ট্রাফিক মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে সকল ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তবে এর আগে অনেকবার সড়ক ও জনপথের রাস্তা দখলকারীদের উচ্ছেদের নোটিশ দিলেও তারা নিজেরা সড়ক ও জনপদের রাস্তা ছেড়ে না দেয়ায় সর্বশেষ এই অভিযান পরিচালনা করেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ গাইবান্ধা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের জমি জমা সংক্রাস্ত আইন বিষয়ক কর্মকর্তা (উপসচিব) কামরুজ্জামান মিয়া সহ অনেকে।
উচ্ছেদ অভিযানে গাইবান্ধা শহরের জেলা সড়ক বিভাগের অন্তর্ভুক্ত বাস টার্মিনাল থেকে ১নং রেলগেইট পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে সরকারি জায়গার মধ্যে যে সকল দোকান-পাট, ঘর-বাড়ি, মার্কেট-শো-রুম, ব্যাংক-বীমা অফিস ও অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা রয়েছে তা উচ্ছেদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গাইবান্ধা জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফিরোজ আখতার।
ঢাকার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের জমি জমা সংক্রাস্ত আইন বিষয়ক কর্মকর্তা (উপসচিব) কামরুজ্জামান মিয়া উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের জানান, গাইবান্ধা শহর ফোরলেন নির্মানে রাস্তা প্রশস্ত করনে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। উচ্ছেদ আগে মাইকিং করা হয়েছে। যারা রাস্তার জায়গা অবৈধভাবে দখল করে আছে এবং নিজে থেকে সড়ায়নি তাদেরকে আমরা উচ্ছেদ করছি। জনস্বার্থে এটি করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফিরোজ আখতার জানান-১৯৬২ সালের আগেই এই জমিগুলো অধিগ্রহণ করেছে সরকার। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এটি নিজস্ব জায়গা। আমরা আমাদের নিজস্ব জায়গাতেই কাজ করছি। কাজ করতে গিয়ে দেখি অবৈধ দখলকৃত ব্যাক্তিরা তাদের স্থাপনা সড়ায়নি। তাই ভেপু দিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসেনা।
উচ্ছেদ অভিযানের আগে তাদেরকে সতর্কিকরন নোটিশ প্রদান ও মাইকিং করা হয়েছিল। উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কর্মী সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেন।
সিঙ্গার শো-রুম মার্কেটের কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান- কোনো প্রকার নোটিশ প্রদান ছাড়াই এগুলো উচ্ছেদ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এতে করে আমাদের অনেকটা ক্ষতি হয়ে গেল।
উল্লেখ্য, হাইকোর্ট মামলা জটিলতার কারণে এতদিন বাস টার্মিনাল থেকে ১নং রেলগেইট পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে ফোরলেনের কাজ স্থগিত ছিল।