ভৈরবে পৌরসভা নির্বাচনে উৎসব মুখর পরিবেশে শান্তি পূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইফতেখার হোসেন বেনু ৩৭ হাজার ৯শ ৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি বিএনপি প্রার্থী হাজি মোঃ শাহিন ৯ হাজার ৬শ ৪৯ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচনে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণে ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘেœ ভোট প্রদান করেছে। তবে ইভিএমে ভোট গ্রহণে কোন প্রকার জাল ভোট দেয়ার সুযোগ না থাকায় ভোটারদের মাঝে এক ধরনের আত্মতৃপ্তি দেখা গেছে। সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলে ও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
নির্বাচনে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আমলাপাড়া কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থী শিমুলের সমর্থকদের সাথে লোকমান সরকার ও অন্যান্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও ৩ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রথমবারের মতো ইভিএমের মাধ্যমে অবাধ,সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভোটারদের নিরাপত্তায় বিজিবি,র্যাব ও পুলিশ ষ্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে ছিল। এ ছাড়া ও প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাহী ম্যাজিষ্টেটের মাধ্যমে মোবাইল টিম মাঠে কাজ করছে।
নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ভৈরব শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইফতেখার হোসেন বেনু নিজ কেন্দ্র পলতাকান্দা সৃজনী সঃকাঃ প্রাঃ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রদান করেছেন।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাজি মোঃ শাহিন ধানের শীষ প্রতীকে কালিপুর ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেছেন।
এছাড়া আবদুল্লাহ-আল মামুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোবাইল প্রতীক নিয়ে ভৈরবপুর আদর্শ সঃকাঃ প্রাথঃ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেছেন।
এছাড়া ও সাধারন কাউন্সিলর পদে ৪৪ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জনসহ মোট ৬১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন। ভৈরব পৌরসভায় ৩৫টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোট ছিল ৭৯ হাজার ৭শ ১৩ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৪০ হাজার ৩শ ৭ জন এবং পুরুষ ভোটার ৩৯ হাজার ৪শ ৬ জন।