পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’২০২১ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, পুলিশ সদস্যরা অন্যের নিরাপত্তা ও সমস্যা নিয়ে কাজ করতে যেয়ে তাদের নিরাপত্তা ও সমস্যার কথাই ভুলে যান। কিন্তু তাদের অকাল মৃত্যুর পরে পরিবারের লোকেরাই বুঝে তারা কি হারিয়েছেন। নানাবধি সমস্যা নিয়ে তাদের জীবন অতিবাহিত করতে হয়। তাদের দিকে সরকার যেনো নজর রাখে এটিই আমাদের দাবি।
পুলিশ মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে সোমবার দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ লাইনস এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন সময় দ্বায়িত্বপালনকালে নিহত ফরিদপুর জেলার ৩৮ জন পুলিশ সদস্যের পরিবারসহ পুলিশ কর্মকর্তা ও অন্যান্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান (পিপিএম সেবা) এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) জামাল পাশা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাইওয়ে মাদারিপুর অঞ্চল) মো. সিরাজুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) আনিসুজ্জামান, ওসি (ডিবি) সুনীল কর্মকার, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুব্রত গোলদার, নিহত এসআই মনিরের পিতা আবদুস সালাম মোল্যা, পুলিশ সদস্য গোলাম আম্বিয়ার স্ত্রী সাবিহা আক্তার, নিহত পুলিশ সদস্য আজাদ মিয়ার স্ত্রী শিউলি বেগম ও কনস্টেবল মো. আসলাম।
বক্তাগণ কর্মরত পুলিশ সদস্যদের শারিরীক মেডিকেল চেকআপের ব্যবস্থা নেয়া ছাড়াও নিহত পুলিশ সদস্যদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন, নিহত সকল পুলিশের পরিবারকে রেশিনিং সুবিধা প্রদান ও তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা ও কর্মসংস্থানে কোঠা বৃদ্ধির দাবি জানান। এসব দাবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে জানানোর জন্য আইজিপির নিকট সুপারিশ পাঠানো হবে বলে সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান জানান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহমিদা কাদের চৌধুরী সহ বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভাশেষে গত বছর কর্তব্যকালে নিহত ফরিদপুরের সাতজন পুলিশ সদস্যের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ও উপহার সামগ্রীসহ অন্যান্যের পরিবারের হাতে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তুলে দেন পুলিশ সুপার।
এর আগে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার, জেলা পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই, নৌ পুলিশ ও নিহতদের পরিবারবগ নিহত ৩৮ জন পুলিশ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি পুস্পমাল্য অর্পণ ও তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।