কখনো ভাবিনি পাকা ঘরে ঘুমাবো, স্বপ্ন ছিলো মৃত্যুর আগে যেন পাকা ঘরে ঘুমাতে পারি। সেই স্বপ্ন পুরন করলো প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ বন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। জমি নেই, ঘর নেই প্রকল্পের আওতায় পাকা ঘর পেয়ে আবেক আপ্লুত হয়ে কথা গুলো বলছিলেন, কয়রাার মহারাজপুর গ্রামের আমেনা বেগম (৬০)। তিনি বলেন, স্বামী ছাড়াই ২২ বছর ছেলে-মেয়ে নিয়ে দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কাজ করে এবং ঝাড়- বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে এসেছি। প্রায় দুই যুগের বেশী সময় ধরে খাস জমির উপর ভাঙ্গা ঘরে ছেলে-মেয়ে নিয়ে বসবাস করতাম। আশা ছিলো পরিবার পরিজন নিয়ে ভাল একটি ঘরে বসবাস করবো। আশা থাকা সত্বেও ভাগ্য সহায়ক হয়নি। তবে সে আশা পুরন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সার্বিক সহযোগিতা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস। এজন্য তিনি যতদিন বেচেঁ থাকবেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। শুধু আমেনা নয় কয়রা উপজেলার ৫০ টি পরিবার তাদের মাথা গোজার ঠাই পেয়ে বেজায় খুশি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পরিচালিত আশ্রায়ন ২ প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার ৭ ইউনিয়নের প্রথম পর্যায়ে ৫০ টি ঘরের নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঘর পাওয়ার ব্যাপারে এক পতিক্রিয়ায় মহারাজপুর গ্রামের সরবানু বিবি বলেন, নিয়ম মাফিকভাবে ঘর কাজ বুঝি নিয়েছে। নিজে না বুঝলেও এলাকার সচেতন মানুষের ডেকে নিয়ে ঠিকমতো কাজ বুঝে নিয়েছে। কয়রা উপজেলার এ সকল ঘরগুলো নির্মান করার সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তারা একাধিকবার পরিদর্শন করে কাজের তদারকি করেছেন বলে তিনি জানায়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তরায়ন কর্মকর্তা সাগর হোসেন সৈকত জানায়, প্রথম পর্যায়ের ৫০ টি ঘর যাদের জমি নেই, ঘর নেই এমন পরিবাররের মাঝে প্রদান করা হয়েছে। অনুমোদিত ডিজাইন মোতাবেক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মহতি উদ্যোগ থেকেই তৃণমুল পর্যায়ে অসহায় পরিবার গুলোকে যাদের জমি নেই,ঘর নেই এমন পরিবারকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য ঘর গুলি তৈরী করে দেয়া হয়েছে। যা বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তবে পথে থাকা এ সকল মানুষগুলো মাথা গোজার ঠাই পেয়ে বেজাই খুশি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে অনেকেই।