নীলফামারীর জলঢাকায় এবার প্রেমের বলি হলেন রংপুর কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে মারা গেছেন রুবাইয়া ইয়াসমিন রিমু। তবে তার মারা যাওয়া নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে রিমুকে হত্যার অভিযোগ উঠলেও সড়ক দুর্ঘটনায় সে মারা যায় বলে একাধিক সুত্র দাবি করেছে। নিহত রিমু রংপুর কারমাইকেল কলেজের বাংলা বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং নীলফামারীর সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের মানুষমারা গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে। পুলিশ, স্থানীয় সূত্র ও নিহতের পরিবার থেকে জানা যায়, ১ মার্চ সকালে পাশের জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের টেঙ্গনমারীতে কোচিং সেন্টারে পড়তে যান রিমু। এ সময় রিমু তার প্রেমিক কচুকাটা ইউনিয়নের কচুকাটা গ্রামের আব্দুল্লাহ হোসেনের ছেলে ফয়সাল মোটরসাইকেল নিয়ে ওই কোচিং সেন্টারের সামনে যান এবং সেখান থেকে রিমুকে তুলে নিয়ে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার দিকে রওনা দেন। পথিমধ্যে সকাল পৌনে নয়টার দিকে জলঢাকা উপজেলার রাজারহাট নামক স্থানে একটি ট্রলিকে সাইড দিতে গিয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন রিমু। তাৎক্ষনিক ফয়সাল তাকে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। রিমুর মাথায় আঘাত গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিমু। এরপর মেডিকেলে লাশ রেখে পালিয়ে যান প্রেমিক ফয়সাল। কচুকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রউফ বলেন, ফয়সালের সঙ্গে নিহত রিমুর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে এলাকার লোকমুখে জানতে পেরেছি। তারা রাজার হাটে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পরে বলে সেখানকার প্রত্যদর্শীরা জানিয়েছে।
নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শন (তদন্ত) মাহমুদ উন নবী বলেন, লোকমুখে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। নিহতের বাড়ি নীলফামারী সদর থানায় হলেও ঘটনা জলঢাকা থানা এলাকায় হওয়ায় সেখানকার থানা পুলিশ বিষয়টি দেখছে। জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, নিহত রিমুর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।