সেচকাজে সরকারের দেয়া ভুর্তুকির সুবিধা পাচ্ছেনা মেহেরপুরের কৃষকরা। সরকার শতকতা ২০ ভাগ হারে বৈদ্যতিক বিলে ভুর্তুকি দিলেও সেচপাম্প মালিকরা কৃষকদের না দিয়ে ইচ্ছে মত সেচ খরচ নিচ্ছে। এসব কারণে ভুর্তুকি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা। দ্রত সময়ে মধ্যে কৃষকদের সরাসরি ভুর্তুকির টাকা ব্যাংক একাউন্টে দেয়া ও সেচপাম্পের প্রতি বিঘার খরচ নির্ধারন করে দেওয়ার দাবি করেছে তারা।
কৃষি বিভাগের হিসেব মতে চলতি বছরে মেহেরপুর জেলায় প্রায় ১৯ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করেছে কৃষকরা। এসব জমিতে চাষাবাদ করার কারণে সরকার কৃষকদের জন্য শতকরা ২০ ভাগ ভুর্তুকি দেয়। সরকারের কাছ থেকে সেচপাম্প মালিকরা ভুর্তুকির সুবিধা নিলেও কৃষকদের সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ফলে চাষীরা প্রতারিত হচ্ছে। কৃষকরা এসবের প্রতিবাদ করলেই তাদের সেচবন্ধ করার হুমকিও দেয়া হয়। নিরুপায় হয়ে সেচপাম্প মালিকদের দাবি মানতে বাধ্য হচ্ছে কৃষকরা। একারনে সেচপাম্প মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে তারা। এ ছাড়া চাষীদের কাছ থেকে মনগড়া সেচ খরচ চাপিয়ে দিয়ে আদায় করছে টাকা। এসব দেখার কেউ নেই।
কৃষকরা জানিয়েছেন,কৃষকদের ভুর্তুকির টাকা না দিয়ে সেচপাম্প মালিকরা সব ভোগ করে। ভুর্তুকির সুফল পেলে তারা আরো বেশি ফসল ফলাতে পারবে। চাষকাজ করতে গিয়ে কিছুটা হলেও আর্থিক সংকট দূর হবে।
সেচপাম্প মালিকরা জানান, তাদের কাছ থেকে মিটার ভাড়া সহ বিভিন্ন ধরনের ভাড়া আদায় করলেও ভুর্তুকির কত টাকা বাদ দেয়া হলো এই কথাটা বিলে লেখেনা যার কারণে ভুর্তুকির সুবিধা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে কৃষক ও সেচপাম্প মালিকরা।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম নিরাপদ দাশ বলেন,শতকরা ২০ ভাগ ভুর্তুকি দেয়া হয়। সেটা সেচপাম্প মালিক গ্রহন করে কিন্তু প্রন্তিক কৃষকদের না দিলে সেচ কমিটি বিষয়টি দেখতে পারে।
স্বপন কুমার খাঁ বলেন,বিষয়টি সেচ কমিটি বা বিএডিসির বিষয়। এ বিষয়ে কথা বলতে গাংনী বিএডিসি অফিসে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নী।
সরকারের দেয়া ২০ ভাগ ভুর্তুকির টাকা কৃষকরা পাচ্ছেন না স্বীকার করে মেহেরপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, উপজেলা সেচ কমিটির সভায় বিষয়টি উত্থাপনের পাশাপাশি সংসদের আগামী অধিবেশনে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে। এবং কৃষকরা যাতে সরকারের দেয়া ভুর্তুকির টাকা পেতে পারে এজন্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।