দেওয়ানগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ওয়্যারিং ইনিসপ্টেক্টরের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুনীতির কারণে এলাকার কৃষকদের কৃষি ফসল উৎপাদনে ব্যাহতের আসংখ্যা দেখা দিয়েছে। এলাকার ভুক্তভোগিরা জানায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ওয়্যারিং ইনিসপ্টেক্টর মো.আনোয়ার হোসেন যোগদানের পর থেকে তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে অনিয়কে যেন নিয়মে পরিণত করেছেন। তার অনিয়ম দুর্নীতিতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বৈধ ভাবে নতুন সংযোগ নিতে গেলে ওয়্যারিং ইনিসপ্টেক্টর মো.আনোয়ার হোসেন মোটা অংকের উৎকোচ দাবী করে থাকেন। দিতে অস্বীকৃতি জানালে গ্রাহকদের সংযোগ না দিয়ে তাদের নানা ভাবে হয়রানী করে থাকেন।
ভুক্তভোগিদের অভিযোগ,দুর্নীবাজ ওয়্যারিং ইনিসপ্টেক্টর মো.আনোয়ার হোসেন তিনি উপজেলার বাহাদুরাবাদ শাহাজাদপুর এলাকার বাসিন্দা মোজ্জামেল হকের ছেলে আসাদুজ্জামানের নিজস্ব কৃষি জমি না থকলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ৬০হাজার টাকা উৎকোচের বিনিময়ে অবৈধ ভবে অন্যের জমিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। একই ভাবে ,ওই দুর্নীবাজ ওয়্যারিং ইনিসপ্টেক্টর তিনি ৪০হাজার টাকা উৎকোচের বিনিময়ে উপজেলার টাকীমারী এলাকার বাসিন্দা সাকির হোসেনে নিজস্ব কৃষি জমি না থকলেও অবৈধ ভবে অন্যের জমিতে সেচপাম্প বসিয়ে সংযোগের দেওয়ার পায়তারা করে আসছেন।
অপর দিকে কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলমের ছেলে আনোয়ার হোসেন নিজস্ব জমিতে কৃষি পণ্য টাল-তরিতরকারিসহ আম বাগনের পানি সেচ দিতে তিনি নিয়মানুয়ী কৃষি বিভাগ (বিএডিসি) এর ছাড়পত্রসহ সংযোগ পেতে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে সংযোগ চাইতে গেলে, ওই দুর্নীবাজ ওয়্যারিং ইনিসপ্টেক্টর সংযোগ দিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কাছে মোটা অংকের উৎকোচ দাবী করেন। দাবীকৃত উৎকোচের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তার আবেদনটি ফাইল প্রথমে একাধিকবার গায়েব করা হয়। পরে খোজে ফাইল দিলে তা’ বাতিল করেন। পরে ভুক্তভোগি বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বিষয়টি নিয়ে জামালপুর পল্লীবিদ্যুত সমিতির জিএম সাহেবের দারস্থ্য হলে পুনরায় জিএম সাহেব সংযোগ দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দ্দেশ দেন। কিন্তু ওই দুর্নীবাজ ওয়্যারিং ইনিসপ্টেক্টর মো.আনোয়ার হোসেন উৎকোচ না পেয়ে কৃষিসেচ সংযোগ না দিয়ে শিল্প বাণিজ্য রেটএ অথাৎ ২টাকা ৫০পয়সার স্থলে শিল্প বাণিজ্য রেট যার প্রতি ইউনিট বিদ্যুত বিল প্রায় ৮টাকা ৫০পয়সা রেট দিয়েছেন। এ আবস্থায় ভুক্তভোগি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কৃষক আনোয়ার হোসেন বর্তমানে কৃষিকাজে ব্যবহার করে কৃষি ফসল উৎপাদন করার কথা সেখানে তাকে শিল্প বানিজ্য রেট এ এত টাকা বিল পরিশোধ করা তার পক্ষে মোটেও সম্ভব নয় বিধায় তিনি সব কিছু বন্ধ রেখেছেন।
এ ব্যাপারে ওয়্যারিং ইনিসপ্টেক্টর মো.আনোয়ার হোসেন সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন। বীরমুক্তিরযাদ্ধার সন্তানের কৃষি সেচ এর পরিবর্তে শিল্প বাণিজ্য করার কারণকি জানতে চাইলে তিনি তার কোন সদ্যেত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির এজিএম বাহেবুর রহমানের কাছে কৃষিসেচ সংযোগ না দিয়ে শিল্প বাণিজ্য রেটএ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
অপরদিকে ভুক্তভোগিদের দাবী অবিলম্বে দুর্নীবাজ ওয়্যারিং ইনিসপ্টেক্টর মো.আনোয়ার হোসেন বিরোদ্ধে সঠিক তদন্ত পূবর্ক শাস্তি মুলক ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানিয়েছেন।