রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের রাস্তার বেহাল অবস্থা। পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার সাড়ে ৪ বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু রাস্তাগুলো আগের মতো রয়ে গেছে। রাস্তার কোন উন্নয়ন হয়নি।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ৪ জুন চকরাজাপুর ইউনিয়নে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্মাচিত হয়েছেন বাঘা উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আজিজুল আযম। উপজেলার পুরোনো গড়গড়ি ইউনিয়ন ভেঙ্গে পদ্মা নদীর চরে ৪৬ দশমিক ৪৭২ বর্গকিলোমিটির এলাকা নিয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়ন গঠিত। পদ্মার ওপারে গড়গড়ি ইউনিয়ন আদালা রয়ে গেছে। এ ইউনিয়নে জনসংখ্যা ২০ হাজার ৪৭২ জন। ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ৩৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ২৬৪ ও নারী ৪ হাজার ১৩০ জন।
পলাশি ফতেপুর চরের রবিউল ইসলাম বলেন, বর্ষার সময়ে নৌকা ছাড়া পারাপারের কোন ব্যবস্থা থাকে না। একটি খেয়া ছেড়ে গেলে পরের খেয়ার জন্য বসে থাকতে হয়। এ ছাড়া রাস্তা-ঘাট নেই, একজন সন্তান সম্ভাবা মায়ের প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে কাঠের তক্তায় শুয়ে মাথায় করে হাসাপাতালে নিতে হয়।
অপর দিকে শুকনো মৌসুমে রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত বালু। এই বালুর মধ্যেও চলাচল করা সম্ভব হয়না। ফলে চরবাসি রয়েছে মহাবেকায়দায়। নির্বাচন আগত। আশা করছি আগামী সময়ের এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দ্বারা দুঃখ লাঘব হবে। এ সরকারের সময়ে পদ্মার চরে দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাকা করণ করা হয়েছিল। গত বছরের বন্যায় তা পদ্মা গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
চকরাজাপুর চরের আবদুল কাদের শেখ বলেন, আগে ইউনিয়ন পরিষদ পদ্মার ওপারে ছিল। কোন কাজে যাওয়াটা সারা দিনের ব্যাপর ছিল। এখন অন্তত এ ইউনিয়ন পরিষদের কাজে বর্ষায় নৌকা আর শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে পদ্মার ওপারে যাওয়া লাগে না। অফিসিয়াল কাজে বা চিকিৎসা ক্ষেত্রে উপজেলা সদরে যেতে হলে অনেক কষ্ট করতে হয়। তবে বর্তমানে রাস্তাগুলোর যে অবস্থা তাতে যাওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিযুল আযম বলেন, আমার চেষ্টায় চরের জনগনের দীর্ঘদিনের ফসল হিসেবে চরকে আলাদা ইউনিয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। আমি এর আগেও অবিভক্ত গড়গড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম। বর্তমানে আলাদা হয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়ন হয়েছে। এই ইউনিয়নে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। জনগণ আমাকে নির্বাচিত করছে। রাস্তাঘাটসহ চরের মানুষের আমি সার্বিক উন্নয়ন করার চেষ্টা করছি।