কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের দক্ষিন কাছারি পাড়া সায়েদা খাতুন(৪৫) নামের এক গৃহ বধুর গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে তীব্র আলোচনার ঝড় বইছে।। সায়েদা খাতুন ওই গ্রামের মৃত্যু সোনাবৃদ্ধির স্ত্রী। গৃহ বধুর বড় ভাই জামাল উদ্দিন জানান,গত কাল রাতে আমার বোনের সাথে প্রতিবেশী কালাম ও তার স্ত্রী রহিমা ও তাহেরের সাথে তুমুল ঝগড়া হয়। এর আগে তার চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয় ওই প্রতিবেশি। এ সময় তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। রাতে ঝগড়া আর সকালে উঠে দেখি আমার বোন বাড়ির পাশে জলপাই গাছে ঝুলে আছে। আমার বোনের হাত আগে থেকেই ভাঙ্গা। সে হাতে ভাত তুলে খেতে পারেনি। কি ভাবে গাছে উঠে আত্মহত্যা করবে। প্রতিবেশী কালাম গংই আমার বোনকে হত্যা করেছে। আমি বোন হত্যার বিচার চাই।এ কথাগুলো উপস্থিত সাংবাদিক ও পুলিশকে জানান, গৃহবধুর ভাই জামাল। গৃহবধুর ৫ম শ্রেনী পড়-য়া কন্যা শাকিনা খাতুন জানান,আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে মাকে বিছানায় না দেখে টিউওয়েল পাড়ে গিয়ে দেখি মা গাছে ঝুলে আছে। আমি চিৎকার করলে আশেপাশের মানুষ এসে বলে আমার মা মইরা গেছে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে আমার মায়ের মরা লাশ নিয়ে গেছে। এলাকাবাসী জানান, মেয়েটি পরহেজগার ছিল। সে আত্মহত্যা করতে পারে না।এলাকার ইউপি সদস্য বাদশা মিয়া জানান,ওই ২ পরিবারের মধ্যে রাস্তা ও জমাজমি নিয়ে আমি বেশ কয়েক বার শালিস করেছি,কিন্ত ু সুরাহা করতে পারেনি।
চর রাজিবপুর থানার ওসি(তদন্ত) নাজমুল হাসান জানান,থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।