জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন কমর্কান্ড চলমান রাখার জন্য চট্টগ্রামের ইট ভাটার ইট বিক্রি চালু করে দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাঙ্গামাটি জেলা ঠিকাদার সমিতি, পরিবহন শ্রমিক, নির্মান শ্রমিক ও লোড-আনলোড নৌ পরিবহন শ্রমিক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) সকালে রাঙ্গামাটি চেম্বার অব কর্মাসের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রাঙ্গামাটি ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি শেখ এমদাদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেকান্দার, রাঙ্গামাটি ব্যবসায়ী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলী আজগর, রাঙ্গামাটি ট্রাক টার্মিনাল ইজারাদার মোঃ শাওয়াল উদ্দিন, রাঙ্গা কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুল সাক্তার, মাঝি-মাল্লা সমিতির সভাপতি শাহাজাহান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, পার্বত্য এলাকার অনগ্রসর জনসাধারণের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলমান আছে। কিন্তু ইটের ভাঁটা বন্ধ করে দেয়ার কারণে ইট ভাটায় ইট বিক্রিও বন্ধ রয়েছে। এতে করে রাঙ্গামাটিসহ জেলার ১০টি উপজেলার চলমান উন্নয়নমূলক কাজগুলো বাধাগ্রস্থসহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, রাঙ্গামাটি জেলার উন্নয়ন কাজ পাশ্ববর্তী চট্টগ্রাম জেলার ইট ভাটার ইটের উপর নির্ভরশীল। আমাদের এখানে উৎপাদিত ইটের মাধ্যমে চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। সামনে কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ার আগে বিভিন্ন উপজেলায় ইট, বালি, কংকরগুলো নদী পথে প্রত্যেক উপজেলায় পৌছাতে হবে। আর হ্রদের পানি শুকিয়ে গেলে উপজেলাগুলো এইসব মালামাল পরিবহন করা সম্ভব হবে না। এখন গত ২৭ ফেব্রুয়ারী হতে চট্টগ্রাম জেলার ইট ভাটায় ইট বিক্রি বন্ধ থাকার কারণে আমাদের চলমান উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে আছে। সঠিক সময়ে কাজ করতে না পারলে এলাকার উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ হবে। আর আমাদের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা মানবেতন জীবন যাপন করছে।
তাই বক্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে সরকারের নির্দেশনাকে কিছুটা শিথিল করে পার্বত্য এলাকার চলমান উন্নয়ন কাজগুলো শেষ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার ইট ভাটাগুলো গুড়িয়ে না দিয়ে প্রত্যেক ইট প্রস্তুতকারী ভাটাকে পরিবেশ বান্ধব লাইন্সেস প্রদানে সুযোগ ও ইটের ভাটার ইট বিক্রি চালু করাসহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট লক্ষাধিক শ্রমিকের জীবন বাঁচানোর আহবান জানান বক্তারা।