খুলনার পাইকগাছায় ইতিহাস ও ঐতিহ্যখ্যাত সরল খাঁ দীঘি। সুপেয়ে পানি পাশাপাশি এ দীঘিকে ঘিরে এ অঞ্চলে রয়েছে অনেক ইতিহাস। সংস্কার ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে এ দীঘিটি এখন শেওলা কচুরীপনা আর নোংরায় পরিপূর্ণ। এ অবস্থায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা করার উদ্যোগ নেন প্রশাসন। গত ২২ ফেব্রুয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পরিচ্ছন্নতার কাজ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আবদুল গফফার মোড়ল। শেওলা তোলা উদ্বোধন করার প্রায় দুই সপ্তাহ পার হলেও দীঘি থেকে কোনো শেওলা কচুরীপানা উত্তোলন করা হয়নি। এতে করে স্থানীরা বিষ্মীত হয়েছেন। ব্যাপক আলোড়ন করে উদ্বোধন করা হলেও দীঘি থেকে কোনো শেওলা বা কচুরীপানা উঠানো হলো না। শত শত মানুষ এই দীঘিতে গোসলসহ পানি ব্যবহার করেন। দীর্ঘদিন দীঘিটি সংস্কার ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা না করায় পানি ঘণো কালো রং ধারন করেছে।
উল্লেখ্য, ঐতিহ্যবাহী দীঘিটি প্রায় ৬শ বছর আগে হযরত খানজাহান আলী (রহঃ)’র অনুসারী সরল খাঁ এলাকার মানুষের সুপেয় পানির জন্য খনন করেন। দীঘিটি হচ্ছে এলাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্যখ্যাত। সরল খাঁ’র নামেই পাইকগাছা সহ এলাকার কয়েকটি গ্রামের নামকরণ হয়। এলাকার শত শত মানুষের গোসলের একমাত্র মাধ্যম অত্র দীঘিটি। বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেকেই এখনো দীঘিতে মানত করে থাকে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সম্পূর্ণ দীঘিটি কচুরিপনায় পরিপূর্ণ। এ ছাড়া আগাছা ও আবর্জনায় পানি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আব্দুল গফফার মোড়ল বলেন, হয়তো আজ ৬মার্চ শনিবার থেকে দীঘির কচুরীপানা উত্তোলন করা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি শনিবার থেকে পুরাদমে দীঘির শেওলা উত্তোলনের কাজ হবে। স্থানীয় সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান এফএনএসকে বলেন, ঐতিহ্যবাহী দীঘির জায়গা নানা ভাবে জবর দখল হওয়ায় সংকুচিত হচ্ছে। এতে দীঘির পরিবেশ যেমন বিপন্ন হচ্ছে, তেমনি ঐতিহ্য হারাচ্ছে। সরকারি এই দীঘির পানি সংরক্ষণের বিশাল আধার। স্থানীয় কয়েকজন এফএনএসকে জানান, দীঘিটি বাঁচলে এ অঞ্চলের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সুস্থ্য থাকবে। তাই মানুষের কল্যাণে এই দীঘি পূর্ণ খননসহ রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।