প্রথম ধাপে ইউপি নির্বাচন। খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় ২নং কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান পদে নৌকা মাঝি হতে চান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজপথের লড়াকু সৈনিক শেখ ইকবাল হোসেন খোকন। ইউনিয়নকে ডিজিটালাইজের আলোতে আলোকিত করতে নৌকার মাঝি হয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চান তিনি। নির্বাচন কমিশন কয়েকটি ধাপে দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন দ্রুত সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। সে লক্ষে প্রথম ধাপে ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদে আগামী ১১এপ্রিল ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৮ মার্চ, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৯ মার্চ এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৪ মার্চ।
যে কারণে যারা ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন করার ইচ্ছে পোষণ করেছেন-তারা জোরেসোরে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তেমনি পাইকগাছায় কপিলমুনি ইউনিয়ন থেকে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার লক্ষে অনেক আগে থেকেই কার্যক্রম শুরু করেছেন ইচ্চ শিক্ষিত, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও পরীক্ষিত রাজনীতিবিদ শেখ ইকবাল হোসেন। এ ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দলে প্রার্থীর ছড়াছড়ি। এ তালিকায় পুরাতন আর নতুনদের সাথে সুবিধাভোগীদের সংখ্যা কম নয়। ইউনিয়ন থেকে ১০জন দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী। যে কারণে নৌকা প্রতীক নিয়ে জটিলতা সৃষ্ট হতে পরে। সে সকল জটিলতাকে উপেক্ষা করে দলীয় প্রতীক নিয়ে এবার আসন্ন ইউপি নির্বাচনে কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চান তিনি। নির্বাচনী মাঠে তিনি নতুন মুখ হলেও সবার কাছে পরিচিত একজন মানুষ। এলাকার যে কোনো মানুষ সমস্যায় পড়লে সাথে-সাথে সেখানে ছুটে যান তিনি। মানুষের বিপদে ঘরে বসে থাকতে পারেন না-ছুটে যান বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে। বিয়ে-সাদী, অভাবী, কাজহীন মানুষকে সহযোগিতা করা, যুব সমাজকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, মাদকমুক্ত ও ক্রীড়ামোদী করে গড়ে তোলার চেষ্টার পাশাপাশি এলাকার সার্বিক উন্নয়নে অংশগ্রহণে সব সময় নিজেকে জড়িয়ে রাখেন। একজন ব্যবসায়ী হয়েও রাজনীতি আর সমাজ উন্নয়নে এ ইউনিয়নের প্রতিটি পরতে-পরতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তিনি বিশ্বাস করেন শুধু ব্যক্তিগত সহযোগীতা দিয়ে সমাজ ও সমাজের মানুষের সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না। তাই বৃহৎ পরিসরে সমাজের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চান। ইউনিয়নের সকল বয়সী ও শ্রেণী-পেশার মানুষের পরিচিত এবং আপনজন ইকবাল হোসেন। জনগণের ইচ্ছে ও ভালবাসার প্রতিদান দিতে নৌকার মাঝি হয়ে নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবা করতে চান তিনি। যে কারণে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন তিনি। এলাকার বিভিন্ন বয়সের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, দক্ষ সংগঠক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে তারা এবার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইকবাল হোসেন কে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চান। কারণ তারা যোগ্য নেতৃত্বের কারণে এ ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য তার বিকল্প নাই। ইতোমধ্যে ইউনিয়নের যুবসমাজ, ছাত্রসমাজসহ কৃষক-শ্রমিক, বয়োবৃদ্ধ ও সাধারণ জনগণের বেশিরভাগ অংশই তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছেন। সকল কিছুর উর্ধে তারা এবার শেখ ইকবাল হোসেনকে নৌকার মাঝি হিসেবে চাই।
শেখ ইকবাল হোসেন এর ইচ্ছা-আঙ্খাক্ষা-উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে আলাপচারিতায় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে একান্ত স্বাক্ষাতকালে তিনি বলেন, ‘আমি জ্ঞান অবধি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সংগঠন, দেশরতœ শেখ হাসিনার প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সম্পন্ন ডিজিটাল ইউনিয়ন গঠনসহ সকল কর্মকা-ে জনগণের অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা আমার লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৮৪ সালে কলেজে পড়াশুনা করা কালিন দলীয় কর্মকা-ে অংশগ্রহণ করি। আওয়ামীলীগসহ দলের বিভিন্ন সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছি। সেই স্কুল জীবন থেকে রাজনীতিতে পথচলা। তাই স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও জনগণের চাহিদা অনুয়ায়ী আসন্ন ইউপি নির্বাচনে এবার আমি অংশ নিতে চাই। জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই। আমার দল আমাকে মনোনয়ন দিয়ে নৌকা প্রতীক দিলে এবার আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো-এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে। নির্বাচিত হলে স্বর্গীয় রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর বিনোদগঞ্জ তথা কপিলমুনি ইউনিয়নকে আধুনিক মডেল হিসেবে গড়ে তোলার ইচ্ছে আছে। পাশাপাশি মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলব। তিনি আরো বলেন, ২০০৩ সাল থেকে আজ অবধি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কপিলমুনি ইউনিয়ন সাধারণ সম্পদাক পদে দায়িত্ব পালন করে আসছি। রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে নিষ্ঠার সাথে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি (১৯৮৪-৮৭) কপিলমুনি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, (১৯৮৮-৯১) উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক, (২০০৪-১৫) উপজেলা আ.লীগ সাবেক সদস্য এবং (২০১৬-২০) আহ্বায়ক কমিটি। কপিলমুনি বিনোদ বিহারী স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ ও উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কপিলমুনি ক্রীড়া শিক্ষ প্রতিষ্ঠান (কে.কে.এস.পি) সাবেক সভাপতি ও সদস্য আহ্বায়ক কমিটি এবং কপিলমুনি কমিনিটি পুলিশিং ফোরাম সাধারণ সম্পাদক।
এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ২৪ফেব্রুয়ারী ১৯৬৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাগত জীবনে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয় (এমএসএস) পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন। তিনি আরো বলেন, আমার বিষয়ে এ ইউনিয়নের প্রতিটি ভোটার অবগত। তাছাড়া নতুন প্রজন্মের ভোটাররা আমাকে এবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার উৎসাহ দিয়েছে। তাদের আস্থার প্রতিদান দিতে আমিও নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। দল আমাকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের টিকিট দিলে-আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে কপিলমুনি ইউনিয়নের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হব। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে অত্র ইউনিয়নে উন্নয়নের নব দিগন্তের সৃষ্টি হবে বলে প্রত্যাশা করছেন ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে পরিণত করতে চাই, সেই সাথে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সহযোগী হতে চাই। কপিলমুনি ইউনিয়নের উন্নয়নের ধারা গতিশীল করতে হলে দলীয় প্রার্থীর বিকল্প কিছু নেই। সে কারণে আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নৌকার মাঝি হয়ে এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।