চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাইমুল হাসান মিশন নিজ বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। ব্যাপারটি ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের বরাত দিয়ে নিশ্চিত করেছেন নাইম হাসানের প্রতিবেশী ও বন্ধু মো. আরমান মজুমদার। নাইমুলের গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার সোনাইপুল গ্রামে। তার বাবা মো. কামাল হোসেন সেনাবাহিনীতে কর্মরর রয়েছেন। মো. আরমান মজুমদার বলেন, নাইমের মা ফজরের নামাজ পড়তে উঠলে তার রুমে বাতি জ¦লতে দেখে অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খুললে সকাল ৭টায় দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। এ সময় রুমে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। আত্মহত্যার আগে লিখিত চিঠিতে নাইমুল হাসান লিখেছেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমার বেঁচে থাকার জন্য কোনো ইচ্ছে নেই তাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ডারউইন বলেছিলেন, ংঁৎৎারাধষ ভড়ৎ ভরঃঃবংঃ, নঁঃ ও ধস হড়ঃ বাবহ ভরঃ. যদি আমার জন্য কেউ কখনো কষ্ট পেয়ে থাকেন, পারলে মাফ করে দিয়েন’। আরমান বলেন, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পদে দুইবার ও মেডিকেলে ভর্তির জন্য দুইবার চেষ্টা করেও সফল হয়নি মিশন। এজন্য মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল সে, যেমনটি লিখে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে রামগড় থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনির হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের পর কারণ জানা যাবে।