দিঘলিয়া উপজেলার ভৈরব নদী বর্তমানে নানা অপরাধী চক্রের হাতে জিম্মি। জল পথে ব্যবসায়ীদের নানা জলজ পরিবহণে মালামাল পরিবহন এখন ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানা যায়।
ভৈরব নদীর নৌকা মাঝি ও ট্রলার এবং বার্জ চালক সূত্রে জানা যায়, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নানা নৌযান নানা প্রকার মালামাল লোড নিয়ে মানিকতলা সরকারি গুদাম ঘাটে, ফুলতলা ও নোয়াপাড়া ঘাটে এসে নঙ্গর করে। এসব নৌযান গন্তব্যে আসার পথে দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় জল পথে অপরাধী চক্রের মূখে পড়ে। এসব অপরাধীরা যন্ত্র চালিত নৌকা নিয়ে এসকল নৌযানে চড়াও হয়। এসব অপরাধী চক্রে ৗযান কর্মীদের নানাভাবে জিম্মি করে সরকারি নানা মালামাল সহ ব্যবসায়ীদের মালামাল নামিয়ে নিয়ে চলে যায়। সরকারি মালামালের মধ্যে চাল, চিনি, লবন, তেল, ঢেউটিন, নানা রকম বীজ, সার উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও রয়েছে ব্যবসায়ীদের নানা ধরনের মালামাল। সূত্র থেকে জানা যায়, সম্প্রতি স্টার জুট মিল এলাকায় ভৈরব নদীতে কয়লার জাহাজে চাঁদা আদায় করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে চন্দনীমহল এলাকার ৭ যুবক। এক সূত্র থেকে জানা যায়, এ সকল জল দস্যুদের কারণে ব্যবসায়ীরা নদী পথে মালামাল পরিবহণ সহজ ও আর্থিক সুবিধা বেশী হওয়ার পরও কমিয়ে দিয়েছে। অপর এক সূত্র থেকে জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাট, কাঠ, বাঁশ সিমেন্ট খুলনায় আমদানি করতে গিয়েও এ চক্রের শিকার হতে হচ্ছে। সূত্র থেকে জানা যায়, চন্দনীমহল, সেনহাটি, ফরমাইশ খানা, নগরীর কাশীপুর, দেয়াড়া, দিঘলিয়া ও বারাকপুরের বিভিন্ন সংঘবদ্ধ চক্র এ উল্লিখিত ঘটনার সাথে জড়িত। এলাকার প্রভাবশালী মহল এসকল অপরাধী চক্রের সাথে জড়িত। সে কারণে এলাকার লোকজন নিরব দর্শক।
এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ আহসান উল্লাহ চৌধুরীর সাথে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ ধরনের ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেনো কোনো অপরাধী পার পবে না।