থাইল্যান্ডে ভ্রমণকারীরা এখন প্রমোদতরীতেই তাদের দুই সপ্তাহের বাধ্যতামূলক করোনাভাইরাস কোয়ারেন্টিন কাটাতে পারবেন বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। নতুন এ উদ্যোগ দেশটির পর্যটন খাতে ৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার রাজস্ব যোগ করবে বলেও আশা করা হচ্ছে। বিবিসি জানিয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন খাতকে চাঙা করতে থাইল্যান্ডের সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটি জানুয়ারিতে ভ্রমণকারীদের গলফ খেলার মাঠে কোয়ারেন্টিনকাল কাটানোর সুযোগ দিয়েছিল। পর্যটন খাতের উপর নির্ভরশীল থাইল্যান্ড গতবছর কোভিড-১৯ এর বিস্তৃতিতে লাগাম টানতে দেশটিতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
সোমবার থাই সরকারের ডিজিটাল ইকোনমি প্রমোশন এজেন্সি (ডিইপিএ) নতুন এ ‘প্রমোদতরী কোয়ারেন্টিন প্রকল্প’ চালুর ঘোষণা দেয়। এর ফলে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষায় নেগেটিভ আসা পর্যটকরা তাদের কোয়ারেন্টিনকাল ফুকেটের কোনো প্রমোদতরী বা ছোট ক্রুজ জাহাজে কাটাতে পারবেন।
বেশকিছু প্রমোদতরী নিয়ে প্রকল্পটির ‘পরীক্ষামূলক যাত্রা’ও এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। গত বছরের মার্চে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলেও অক্টোবর থেকে থাইল্যান্ড ধীরে ধীরে তাদের সীমান্ত খুলতে শুরু করে।
গত সপ্তাহে দেশটির পর্যটন মন্ত্রী বলেছেন, বিদেশিরা যেন তাদের কোয়ারেন্টিনকাল বিচ রিসোর্টসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় পর্যটন স্পটে কাটাতে পারে, তা নিশ্চিতে শিগগিরই একটি প্রস্তাব উত্থাপন করতে যাচ্ছেন তিনি। ফুকেট, ক্রাবি ও চিয়াং মাইয়ের মতো প্রদেশগুলোতে এই ‘হোটেল কোয়ারেন্টিন’ এপ্রিল বা মে থেকে শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।