তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বাঁ পায়ের গোড়ালির হাড়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। নন্দীগ্রামে নির্বাচনি প্রচারণা চলাকালে আহত হন তিনি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নন্দীগ্রামে ফিরে যান তিনি। বুধবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় তিনি যখন নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ার কাছে একটি মন্দির থেকে বের হচ্ছিলেন ঠিক সেই সময় থাকে কে বা কারা ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ ওঠে।
জানা যায়, পায়ের পাতা, ডান হাত এবং ডান কাঁধেও চোট পেয়েছেন মমতা। আগামী ৪৮ ঘণ্টা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক মণিময় বন্দোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, তার বাঁ পায়ের গোড়ালি ও পায়ের পাতার হাড়ে গুরুতর চোট রয়েছে। এ ছাড়া চোট রয়েছে ডান কাঁধ, ডান হাত ও গলায়। ঘটনার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনুভব করছেন। ৪৮ ঘণ্টার জন্য তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
আগামী ২৭ মার্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে। নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে বুধবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখানে মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী এক সময়ের তার ডানহাত শুভেন্দু অধিকারী। যিনি সম্প্রতি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় যখন মন্দির থেকে বের হচ্ছিলেন মমতা ঠিক সেইসময় মমতার চারপাশে উৎসাহী মানুষজন ভিড় জমান। স্বাভাবিকভাবে মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষীরা ওই সময় ছিল। এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির দরজা ঠেলে দেওয়ার ফলে গুরুতর-ভাবে আহত হন মমতা।
সঙ্গে সঙ্গে নিজের গাড়িতে তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতার উদ্দেশ্যে আনা হয়। মমতার অভিযোগ, স্থানীয় কোন পুলিশ ওখানে ছিল না। এসপিও ছিলেন না। এই ঘটনার কথা শোনার পর ওই এলাকায় দ্রুত ছুটে যান পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ।