জামায়াত-বিএনপির তান্ডপে লন্ডভন্ড সাতক্ষীরা আলোচিত ঘটনায় সারা বিশ্ববাসী একসময় আলোচনায়-সমালোচনায় মূখর ছিলো। আইনশৃঙখলায় অবনতি, রাস্তায় রাস্তায় খুন খারাবি, হামলা সংঘর্ষ ছিলো নিত্য দিনের ঘটনা। আর ঠিক সেই মুহুতেই সাতক্ষীরায় আগমন হলো বীর সৈনিক মোস্তাফিজুর রহমানের। আর তিনি সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের দায়িত্ব নিয়েই অশান্ত সাতক্ষীরাকে অল্প দিনের মধ্যে শান্ত করলো তার মৃধা ও বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে। সে সাথে ফিরো এলো অশান্ত সাতক্ষীরার জনগনের মধ্যে স্বস্তি। সাতক্ষীরায় অপরাধ নির্মূলে কঠোর অবস্থানে থাকা মোস্তাফিজুর রহমান কুমিল্লা জেলার এক সমভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা ছিলেন একজন শিক্ষক। মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ২০০৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। সৎ, চৌকশ এবং কর্তব্যনিষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ কৃতিত্বের জন্য তিনি কয়েক বার পিপিএম পদকে ভুষিত হয়েছেন। সফল শিক্ষা জীবন শেষে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে যোগদান করে তার কর্মজীবনের যাত্র শুরু হয়। কর্মসূত্রে পুলিশের দায়িত্ব মাথায় নিয়ে তিনি অল্প দিনের মধ্যেই আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তার এই সাহসী ভূমিকার কারণে খুব সহজেই তিনি জনমনের হৃদয়ে ঠাই করে নিয়েছেন। তিনি সাতক্ষীরায় এসেও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি। মাদক ব্যবসায়ী, প্রতারক চক্র, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের কারণে অনেকটাই কমে এসেছে সাতক্ষীরায় অপরাধীদের দৌরাত্ব। তিনি ইতোমধ্যে সাতক্ষীরায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের কঠোরভাবে দমন করে তাদের আইনের আওতায় এনে তিনি প্রশাংসায় প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন আইনের উর্দ্ধে কেউ নয়। তিনি অপরাধীদের জন্য যেমন আতঙ্ক ঠিক তেমনি জনসাধারনের জন্য কুসুমের মত কোমল। তিনি সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি পুলিশ সদস্যদের সাথে প্রতিনিয়ত ভাবে কল্যাণ সভা ও মাসিক সভা করে সবার খোঁজ-খবর নিয়ে থাকেন। কাজের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য বিভিন্ন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। তিনি এই জেলায় আইনের প্রতি অটল অবস্থানে থেকে তিনি সকল বাধাঁ বিপত্তিকে পেছনে ফেলে ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। যার কারণে আজ সাতক্ষীরায় কমেছে চুরি, সন্ত্রাস, ছিনতাই, মাদক, জঙ্গিবাদসহ অপরাধ মুলক কর্মকান্ড। একই সাথে তিনি ভয়কে পেছনে ফেলে রাত-দিন মহামারি করোনার সাথে যুদ্ধ করে জেলাবাসী ভাল রাখতে কাজ করেছেন। সাথে সাথে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন, বাসায় বাসায় খাদ্য পাঠিয়েছেন। খোঁজ খোবর নিয়েছেন নিয়মিত ভাবে। এ ছাড়া বহু অসহায় মানুষকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। কয়েকজন অসহায় মানুষের ছোট-খাটো দোকানও করে দিয়েছেন। যার কারণে আজ পুলিশের প্রতি বেড়েছে জনগণের আস্থা আর ভালবাসা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাতক্ষীরার ফিংড়ী এলাকার এক নারী বলেন, আমি আমার ভিটাবাড়ীর জমির বিষয় নিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে যাই। তিনি মনোযোগ সহকারে আমার অভিযোগ শোনেন এবং তা তাক্ষনিক ভাবে সমাধান করে দেন। কলারোয়া উপজেলা পৌর সদরের মুরারীকাটি গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পুলিশের অপরাধ প্রবণতা কমেছে। বর্তমানে থানায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, জিডি, ভেরিফিকেশন, মামলা দায়ের করতে টাকা লাগে না। কলারোয়ার মানবাধিকার কর্মী এ্যাড. কাজী আব্দুল্লাহ-আল-হাবিব বলেন, আগে জেলায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। জেলাবাসী এখন সুবিচার পাচ্ছেন। কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, এই পরিবর্তন হয়েছে বর্তমান জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের জন্য। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই যোগদানের পর থেকেই তিনি মাদক, সন্ত্রাস ও পুলিশের গ্রেফতারি ও ঘুষ বাণিজ্যের বিরদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন। এই পুলিশ কর্মকর্তা শুধু শহরেই নয়, গ্রামের মানুষের কাছেও সমান প্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসাবে চিহিৃত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ১১মার্চ সকালে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জনগণের সেবাই পুলিশের ধর্ম। আমরা জেলা পুলিশ চেষ্টা করি মানুষের বন্ধু হিসেবে থেকে তাদের সেবা করতে, তবে অপরাধীদের নয়। জেলার সকল মানুষের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা আছে। কোনো বিপদে পড়লে, কোনো পুলিশ হয়রানি করলে, পুলিশি সেবা পেতে অর্থ চাইলে সরাসরি আমাকে জানাবেন। আমি ব্যবস্থা নেব। এদিকে সাতক্ষীরাবাসী জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের সফল কর্মজীবন এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেন।