পাবনার চাটমোহরে পৃথক ৩টি সড়ক দূর্ঘটনায় এক শিশুসহ ৩জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ও গত বুধবার এসকল দূর্ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথর পশ্চিমপাড়া গ্রামে অটোভ্যান দূর্ঘটনায় সুমাইয়া নামের ৪ বছরের এক শিশু মারা গেছে। সুমাইয়া ওই গ্রামের সাগর হোসেনের মেয়ে। জানা গেছে,সুমাইয়ার দাদা ময়লাল হোসেন তার অটোভ্যানটি বাড়ির সামনে রেখে বাড়ির ভেতর যান। এ সময় সুমাইয়া ভ্যানে উঠে ভ্যানের সাথে রেখে যাওয়া চাবি ঘুরিয়ে ভ্যানটি সচল করে। একপর্যায়ে হাতলে চাপ দিলে গিয়ার চালু হয়ে অটোভ্যানটি দ্রুত গতিতি গিয়ে একটি গাছের সাথে ধাক্কা লাগে এবং সুমাইয়া পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
একইদিন দুপুর ১২টার দিকে চাটমোহর-পাবনা সড়কের উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের খড়বাড়িয়া এলাকায় অটোরিক্সার চাপায় এক গৃহবধূ মারা গেছে। নিহত গৃহবধূ হলেন মথুরাপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের স্ত্রী জুলেখা খাতুন (৫৫)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,জুলেখা সড়ক পার হচ্ছিল। এ সময় একটি অটোরিক্সা তাকে চারা দেয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চাটমোহর থানার ওসি মোঃ আমিনুল ইসলাম দূর্ঘটনা ২টির বিষয় নিশ্চিত করেন।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় গরুবাহী একটি শ্যালো ইঞ্চিন চালিত করিমন উল্টে সড়কের পাশে খাদে পড়ে চালক নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের কুমারগাড়া চাদের মোড় এলাকায়। নিহত করিমন চালক হলেন উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের চিনাভাতকুর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে বাবুর আলী (৪০)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে,বাবুর আলী তার করিমনে ৩টি গরু নিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কুমারগাড়া চাদের মোড় এলাকায় করিমনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে চালক বাবুর গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পাবনা পাঠানো হয়। পাবনা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে। নিমাইচড়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।