সন্ত্রাস, হানাহানি, রক্তপাত কখনো মানব জীবনে শান্তি বয়ে আনতে পারে না উল্লেখ্য করে খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি সাংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, রক্তপাত কখনো কোন ধর্মই সমর্থন করে না। সকল ধর্মে শান্তির কথা বলা হয়েছে। ধর্ম মানুষকে আলোর পথে নিয়ে আসে, মানুষে মানুষের প্রতি ভালোবাসা বাড়ায়। মানুষের ক্ষতি করার জন্য ধর্ম নয়। জাতি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সম্প্রীতির বন্ধনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকলকে তিনি যার যার ধর্ম পালন করার আহবান জানান এবং ধর্মকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারকারীদের প্রতি সজাগ থাকার আহবান জানান।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সকালে রাঙ্গামাটির রাজস্থলীর উপজেলাধীন হাজী পাড়া জামে মসজিদ ভবনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও রাজস্থলী মৈত্রী বিহারের আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিক তালুকদার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হানিফ, সদস্য সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, রাজস্থলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পুচিং মং মারমা, রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচিং মারমা, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মহসীন রোমান, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য নিউচিং মারমা, রাজস্থলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ ছাদেক, রাজস্থলী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মসজল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে আমরা পাহাড়ী বাঙ্গালী সকল সম্প্রদায়ের মানুষ যার যার ধর্ম পালন করার জন্য মসজিদ, মন্দির, বৌদ্ধ বিহার, গির্জা নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। যাতে করে যার যার মতো স্বাধীন ভাবে ধর্ম চর্চা করতে পারে। এতে করে আমরা সবাই মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছি বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়ার লক্ষ্যে। তাই এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আমাদের সবাইকে সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
এর আগে রাঙ্গামাটির এলজিইডির বাস্তবায়নে দেশব্যাপী গ্রীমীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাজস্থলী গ্রামীন বাজার ভবণ নির্মাণের ভিত্তি প্রস্থর করেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে রাঙ্গামাটির রাজস্থলীর উপজেলাধীন হাজী পাড়া জামে মসজিদ ভবনের শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোডে প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, সহকারি প্রকৌশলী মিস ত্রয়া সরকার।