১৯৭১ সালের উত্তাল মাচের্র ১২ তারিখ ছিল শুক্রবার। একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চ মাসের দ্বাদশতম দিবস থেকেই শাপলাকে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় ফুল হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। ওইদিন পূর্ব পাকিস্তানের প্রখ্যাত শিল্পী পটুয়া কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পকলা ভবনে অনুষ্ঠিত হয় চিত্র শিল্পীদের এক সভা। ওইসভা থেকে শাপলাকে ‘জাতীয় ফুল’ হিসেবে নামকরণ করা হয়। সভায় শিল্পী পটুয়া কামরুল হাসান ঘোষণা করেন, গ্রাম-বাংলার খালবিলের ভাসমান শাপলা ফুলই হবে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। পরে শাপলা ফুল দিয়ে সভাপতিকে বরণ করা হয়। চিত্র শিল্পীরাও বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে সব প্রকার সহযোগিতা প্রদান এবং অংশগ্রহণের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঘোষণা দেয়, পাকিস্তানের জাতীয় সংগীত ‘পাকসার জমিন সাদ বাদ’ বাতিল ঘোষণা করা হলো। পাকিস্তানি সৈন্যদের জ্বালানি তেল সরবরাহ না করার জন্য বিভিন্ন তেল কোম্পানিকে নির্দেশ দেন তারা। সবমিলে এদিন স্বাধীনতার ডাকে অসহযোগ আন্দোলন আরও তীব্র আকার ধারণ করে।
একাত্তরের ১২ মার্চে বাঙালিদের স্বাধীনতা আন্দোলনকে রবরুদ্ধ করে দেওয়ার নানাবিধ ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে পাকিস্তানি স্বৈরাচার শাসক। অপরদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বাঙালির মুক্তিকামী জনতা স্বাধীকার আদায়ের জন্য জীবন বাজি সংগ্রামে লিপ্ত হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ- মিছিলের পর মিছিল গগণবিদারী স্লোগান দিয়ে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধুর ৩২নং রোডের বাসভবনে ভিড় জমায়। চারু ও কারুশিল্প মহাবিদ্যালয়ের শিল্পীরা সিদ্ধান্ত নেয় মুক্তিকামী মানুষের মধ্যে স্কেচ, পোস্টার ও ফেস্টুন বিতরণ করে অসহযোগ আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার। শিল্পী মুর্তজা বশীর ও কাইয়ুম চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত হয় ‘চারু শিল্পী সংগ্রাাম পরিষদ’। পূর্ব পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন। সিএসপি ও ইপিসিএস প্রথম শ্রেণীর অফিসাররা আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে তারা একদিনের বেতন আন্দোলনের জন্য আওয়ামী লীগের সাহায্য তহবিলে জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং দেশ স্বাধীনের শপথ নেন। সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারাও আন্দোলনে সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং রাজপথে মিছিল করেন।
অপরদিকে, পাকিস্তানিদের জবাবে ওইদিন রাজপথে নামে মুক্তিকামী এদেশের সাধারণ জনগণ। ফলে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে পাকিস্তানি আর বাঙালিদের মধ্যে। বাঙালিদের ইতিহাসে রচিত হয় বর্বরতা। পাকিস্তানিদের বর্বরতায় বাঙালিদের জীবনে নেমে আসে দুর্বিষ্য। লাহোরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে গণঐক্য আন্দোলনের প্রধান আজগর খান বলেন, বাঙালি আজ নিরাপত্তা চায়। এ জন্যই তারা শ্রেণী ও মতানির্বিশেষে নির্বাচন করেছে। ওইদিন স্বাধীনতার আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে সারাদেশের সিনেমা হলগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন চলচিত্র পরিদর্শকরা। চলচ্চিত্র শিল্পীগণ এক বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন চিত্রনায়ক রাজ্জাক, গোলাম মোস্তফা, চিত্র নায়িকা কবরীসহ অনেকেই।
বগুড়া কারাগার থেকে ১২ই মার্চে বেশকিছু কয়েদি পালায়। দেশব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলনের তীব্রতায় জনগণের সাধারণ জীবন যাপনে নানাবিধ বিপত্তি দেখা দেয়। জনগণ সব বিপত্তি মেনেও স্বধীনতার পক্ষ্যে আন্দোলন অব্যাহত রাখে। উত্তাল-উত্তেজনা পরিবেশ বিরাজ করতে থাকে সারাদেশে। তবে ওই উত্তাল পরিস্থিতির ফায়দা লোটে সুযোগসন্ধানী স্বার্থান্ধ পাকিস্তানের জনগোষ্ঠী। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়াতে অসৎ ব্যবসায়ীরা চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। ওইদিন মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এক জনসভায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিশ্বাস রেখে স্বাধীকার আন্দোলন-সংগ্রামে বাঙালি মুক্তিকামী জনগণকে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলেন। সি.এস.পি. ও ই.পি.সি.এস. অফিসার সমিতি ‘বঙ্গবন্ধু আহূত অসহযোগ আন্দোলন’ এর প্রতি সমর্থন জানানোসহ তাদের এক দিনের বেতন বাঙালিদের স্বাধীনতা ‘আন্দোলন সাহায্য তহবিল’ এ দান করার কথা ঘোষণা করেছিলেন।
একাত্তরের ১২ই মার্চের দিনে পূর্ব পাকিস্তান সিএসপি ও ইপিসিএস অ্যাসোসিয়েশনসহ অন্য সব সরকারি-বেসরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত অফিসে কর্মরত সব বাঙালি কর্মকর্তা-কর্মচারী একজোট হয়ে অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। পর্যায়ক্রমে স্বাধীনতা অর্জনে দেশের সব শ্রেণীর চাকরিজীবী, পেশাজীবী ও শ্রমজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষ অসহযোগ আন্দোলনে শরিক হওয়ায় পাকিস্তান সরকার আরও অসহায় হয়ে পড়ে। বাঙালি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওই একাত্মতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রশাসন সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে। শুধু ক্যান্টনমেন্ট ও সেনাবাহিনী ছাড়া বেসামরিক প্রশাসন পাকিস্তান সরকারের কথায় কোথাও কোনো কাজ না করায় এক প্রকার কর্তৃত্বহীন হয়ে পড়ে পাকিস্তানি সরকার। এ অবস্থায় সেনাবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধির জন্য পাকিস্তানি সামরিক সরকার গোপনে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সেনা সদস্য আমদানি করতে থাকে। এরই মধ্যে অপারেশন সার্চলাইটের অংশ হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাঙালি অফিসারদের কাছ থেকেও ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে তারা। অনেকের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নেয়া হয় এবং নিরস্ত্র অবস্থায় ব্যারাকে ক্লোজও করা হয়। বাতিল করা হয় সামরিক বাহিনীর সব সদস্যের ছুটি।
এদিকে সুযোগ বুঝে একশ্রেণীর মজুদ্ধার চাল, ডাল, লবণ, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি করায় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে মজুদ্ধারদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দেয়া হয়। বাজার পরিস্থিতি পরিদর্শনের জন্য বাঙালিদের পক্ষ থেকে গঠন করা হয় একটি ভ্রাম্যমাণ মনিটরিং কমিটি। কমিটির সদস্যরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাজারসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বাজারে গিয়েও পরিস্থিতির খোঁজ খবর নেন এবং বাজার স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা চালাতে থাকেন। এ অবস্থায় সাংবাদিক সমাজও চুপ করে বসে না থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করতে থাকে। সাংবাদিক সমাজ পাকিস্তান অবজারভারের ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দৈনিক সংবাদ ও ইত্তেফাকের ভূমিকার প্রশংসা করে। আকাশবাণী কলকাতা ও বিবিসিতেও প্রতিদিন প্রচার হতে থাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নানা খবরা-খবর। ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশী সাংবাদিকদের গতিবিধির ওপর পাকিস্তান সামরিক সরকার নজরদারি বাড়িয়ে দেয়। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদ প্রকাশের ওপরও সেন্সর আরোপ শুরু করা হয়। পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দা দফতরের অনুমতি ছাড়া কোনো সংবাদই প্রকাশ করা যাচ্ছিল না।
পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের নড়বড়ে অবস্থার সুযোগে দেশের বিভিন্ন কারাগারেও শুরু হয় বিদ্রোহ। নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালের পর বগুড়া কারাগার ভেঙেও পলায়ন করে ২৭ কয়েদি। এ সময় কারারক্ষীদের গুলিতে ১ জন নিহতসহ ১৬ জন আহত হয়। হানাদার পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শুধু সংগ্রাম, মিছিল-সমাবেশই নয়- সারাদেশেই যুবক সমাজকে একত্রিত করে চলতে থাকে গোপনে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ। গোপনে অস্ত্র-গোলাবারুদও জোগাড় চলতে থাকে নানা মাধ্যম থেকে। প্রশিক্ষণ আর অস্ত্র জোগানে সাহায্য করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে থাকা কিছু বাঙালি অফিসার-জওয়ান ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা-সৈনিকরা।
অপরদিকে, বাঙালি পুলিশ ও আনসারদের ছুটি নেয়ারও হিড়িক পড়ে যায়। সার্বিক পরিস্থিতি অনুধাবন করে গোপনে বহু পাকিস্তানি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী তাদের পরিবার পশ্চিম পাকিস্তানে পাঠাতে থাকেন। পাকিস্তান সরকারও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে থাকে তাদের করণীয় সম্পর্কে। লে. জেনারেল টিক্কা খান পূর্ব পাকিস্তান সামরিক প্রধান হিসেবে বিভিন্ন সেনানিবাসে শক্তি বৃদ্ধির পরামর্শ দেন। আকাশপথের পাশাপাশি চট্টগ্রাম নৌবন্দর হয়ে জলপথেও পাকিস্তান সরকার সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করতে থাকে। সব বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরের বাসভবন থেকে একের পর এক নির্দেশ জারি করে গোটা আন্দোলনকে পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন। মুক্তিবাহিনী গঠন, অস্ত্রসংগ্রহ, মুক্তিবাহিনীর প্রশিক্ষণ, পাড়া-মহল্লায় সংগ্রাম কমিটি গঠন, কূটনৈতিক চ্যানেলে ভারত ও রাশিয়াসহ সমমনা দেশের সঙ্গে সহায়তা চেয়ে বার্তা পাঠানো, দেশের আপামর জনসাধারণকে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করা, ছাত্র ও যুব সমাজকে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণসহ যাবতীয় কাজই হচ্ছিল ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন থেকে। এদিকে পাকিস্তানিদের দোসর একটি দালাল ও কুচক্রী মহল অপপ্রচার চালাতে থাকে যে, ‘শেখ মুজিব প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে ক্ষমতার ভাগাভাগিতে আপসরফা করে স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে পিছ-পা হবেন।’ কুচক্রী মহলের এ গুজবে কান না দেয়ার জন্য বর্ষীয়ান জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘গোটা দেশ এখন মুজিবের কথামতো চলছে।’ দেশপ্রেমিক সব মানুষ মুক্তির জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। এখন পিছ-পা হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। যারা মুজিবের কথার বাইরে যাবেন তারা হবেন গাদ্দার। আর গাদ্দারদের স্থান এই দেশে হবে না।’
অপরদিকে, ওইদিন বাঙালিদের ওপর বিহারীদের হামলা ও আর্মিদের একতরফাভাবে বিহারীদের পক্ষ অবলম্বনের প্রতিবাদে সারা চট্টগ্রাম শহরে মিছিল বের হয়। চট্টগ্রাম সংগ্রাম পরিষদের জরুরি সভা ডাকা হয়। সভায়, সবাইকে সংযম রক্ষা করার আহবান জানানো হয়। বিকেলে সাহিত্যিক আবুল ফজলের নেতৃত্বে শান্তি মিছিল বের হয়।
একাত্তরের ওইদিনে বাঙালির প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও বিক্ষোভের মুখে কোনঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী। সারা বাংলায় মুক্তিকামী মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে চালিয়ে যান অসহযোগ আন্দোলন এবং স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন চলতেই থাকে। এয়ার মার্শাল (অব.) আসগর খান ইয়াহিয়াকে ঢাকায় গিয়ে জনগণের নির্বাচিত জাতীয় পরিষদের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগের এক সভায় প্রতিটি ইউনিয়নে সংগ্রাম পরিষদ গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। ন্যাপ নেতা মোজাফ্ফর আহমদ এক ভাষণে গণহত্যার বিচার দাবি করেন। জাতিসংঘের মহাসচিব উ থান্ট পর্ব পাকিস্তানে কর্মরত জাতিসংঘের সকল কর্মচারী সদর দফতরে ফিরে যাওয়ার নির্দেশের তীব্র প্রতিবাদ ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এ দেশের মানুষও এ পৃথিবীর বাসিন্দা- তাদের প্রতিও জাতিসংঘের দায়িত্ব রয়েছে। ক্যান্টনমেন্ট ছাড়া বাংলার সকল কিছু পরিচালিত হতে থাকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। ঢাকা রেডিওতে বারবার বাজতে থাকে গীতিকার সলিল চৌধুরীর রক্তগরম করা সেই বিখ্যাত সংগ্রামী দেশাত্ববোধক গান- ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা; আজ জেগেছে এই জনতা।’
আগের দিন ১১ই মার্চের পাকিস্তানি হায়েনাদের বর্বতার খবর একাত্তরের ওইদিন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘দৈনিক পাকিস্তান’ অবিলম্বে বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার আহ্বান জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ইংরেজি দৈনিক ‘দ্যা পিপলস পাকিস্তান’ পত্রিকায় পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টোসহ স্বৈরাচার পাকিস্তানিদের নিন্দা জানিয়ে কঠোর সমালোচনা করে খবর প্রকাশ পায়।
(লেখক : এম. কে. দোলন বিশ্বাস, দৈনিক সংবাদের সাবেক সহ-সম্পাদক)