চিলাহাটি থেকে ফিরে গেল ভারতীয় রেলওয়ে ইঞ্জিন। দ্বিতীয় দফায়ও পেছালো ভারতের হলদিবাড়ী-নীলফামারীর চিলাহাটি রেলপথে যাত্রীবাহী ট্রেনের ট্রায়াল। ১১ মার্চ হলদিবাড়ী থেকে ছেড়ে ট্রেনটি দুপুর পৌনে ১টায় বাংলাদেশের ভারত সীমান্তে এসে পৌঁছায়। দীর্ঘ ৪৫ মিনিট অপেক্ষার পর ইমিগ্রেশন জটিলতায় তা আবার হলদিবাড়ী ফিরে যায়। এ রুটের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে নীলফামারীর চিলাহাটি রেলস্টেশন পর্যন্ত পরিদর্শনের জন্য প্রস্তাবিত ওই যাত্রীবাহী ট্রেনে ভারতীয় লোকো পাইলট ও গার্ডের এক প্রতিনিধি দল এসেছিলো হলদিবাড়ি সীমান্ত পর্যন্ত। এর আগে ৫ মার্চ প্রথম ট্রায়াল হওয়ার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে সেটিও সীমান্ত অতিক্রম করে চিলাহাটি আসেনি। চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আশরাফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার হলদিবাড়ী রেলপথে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি ওই ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দীর্ঘ ৫৫ বছর পর পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেলপথ আবারো চালু হয়। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি এর উদ্বোধন করেছিলেন।
রেল সূত্রে জানা যায়, সীমান্তে কর্মরত বিএসএফ কর্মীরা কাস্টম ও ইমিগ্রেশন দপ্তরের ছাড়পত্র দেখতে চান। ট্রেন লোকো পাইলট ও গার্ডরা তা না দেখাতে পারায় দীর্ঘক্ষণ সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকে মহড়া ইঞ্জিনটি। অবশেষে কাস্টম ও ইমিগ্রেশন দপ্তরের অনুমতি না মেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের লার্নিং রোডের (এলআর) পরিকল্পনা সম্ভব হয়নি।
নীলফামারীর চিলাহাটি রেলস্টেশন মাস্টার আশরাফুল ইসলাম হলদিবাড়ি স্টেশন ম্যানেজার সত্যজিৎ তিওয়ারির বরাদ দিয়ে জানান, কাগজপত্রে ক্রুটি থাকায় ভারতীয় ইঞ্জিনসহ ৭ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের চিলাহাটি রেলস্টেশন আসতে পারেননি। এর আগেও গত ৫ মার্চ এমন ঘটনা ঘটেছিলো। ফলে ওই দিনেও ভারতীয় ইঞ্জিন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি।