আশাশুনি সদর ইউনিয়নের নাটানা গ্রামে উড়ে এসে জুড়ে বসা বিএনপির দুর্ধর্ষ ক্যাডার শাহিনের অত্যাচার ও ভূমি জবর দখলে একাধিক পরিবার অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সংখ্যালঘুদের মন্দিরও তার কবল থেকে রেহাই পায়নি। এ ব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থনা করে সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
গোপাল মন্ডল হাড়িভাঙ্গা মৌজার এসএ ২৭২ নং খতিয়ানের ৬১৩ দাগে ৩.০৮ একর জমির মধ্যে তার কন্যা সুভাষিনীকে সাড়ে ১৬ শতক জমি ১৭/১১/৮৬ তারিখে ৬৪৪৫ নং দানপত্র দলিল মূলে স্বত্ত্বদখল ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে সুভাসিনী তার জমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছে বিক্রয় করেন। জমি গ্রহিতা উত্তম পাইন, নিত্যানন্দ সরকার, সুজন সরকার, গোবিন্দ সরকার, রাম দা গোলাদর সাড়ে ৭ শতক জমি ক্রয় করেন। তারা সেই থেকে ওই জমিতে দখল নিয়ে ঘরবাড়ি বেধে, দোকান ঘর করে ভোগ দখলে আছেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই শাহিন সেখানে ৬১২ দাগে জমি ক্রয় করে ৬১২ দাগে মাত্র অর্ধ শতক দখল নিয়ে পাশের ৬১৩ দাগের জমি অবৈধ দখল নিয়ে নেয়। এমনকি জোর পূর্বক পুকুর কেটে উত্তম পাইনের বাড়ী ঘর ও দোকানের পাশে পুকুরের পাড় কেটে ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়ে পাকা বিল্ডিং ও দোকান হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে বলে সংখ্যালঘু পরিবারগুলি জানিয়েছেন। শাহীন ঐ জমিতে থাকা মন্দির ভাঙ্গুর করে জমি দখলের মত জঘন্য কাজটিও করতে দ্বিধা করেননি। এ ছাড়া দোকানের শার্টার ও টাইলস ভেঙ্গে চরম অস্থিতিশীল ও সন্ত্রাসী পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। ক্রয়সূত্রে জমির মালিক হিন্দু সম্প্রদায়ের অসহায় পরিবারগুলো জানান, শাহিন একেক সময় একেক রকম বাহনা নিয়ে তাদেরকে হুমকীর মধ্যে রেখেছে। এমনকি অন্যের ঘরের জানালায় তক্তা লাগিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার মত কাজও তিনি করেছেন। এ ব্যাপারে তারা শাহিনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা।