দীর্ঘ ৫২ বছর পর অবশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ৫নং অজুনতলা ইউনিয়নের চাঁচুয়া-হাটিরপাড় সড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী সাবেক পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমএলএ ) টি.আই.এম.নুরুজ্জামান চৌধুরীর বাড়ির দরজার সেই সড়টি ইটের ব্রিক সলিং করা হয়েছে। টি.আই.এম.নুরুজ্জামান চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্রবধূ রাশেদা আক্তারের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেনবাগ উপজেলার পরিষদ ২লাখ ১৪ হাজার ৩শত ৫০ টাকা ব্যায়ে ৪শত ৮৮ ফুট দীর্ঘ ওই বাড়ির দরজার রাস্তাটি ব্রিক সলিং করেন। দীর্ঘ ৫২ বছর পর সড়কটি উন্নয়ন হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব বিএসসি জানান, ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের তৎকালীন সদস্য (এম.এল.এ) টি.আই.এম.নুরুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে স্বাক্ষাত করতে তিনি টুঙ্গিপাড়া থেকে সেনবাগের অজুনতলা ইউনিয়নের চাঁচুয়া গ্রামের টি.আই.এম.নুরুজ্জামান চৌধুরীর বাড়িতে আসেন। তখন গ্রামের ওই সড়কটি ছিলো কাছাঁ ও কাদা-মাটি যুক্ত। তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে পায়ে হেঁটে টি.আই.এম.নুরুজ্জামান চৌধুরীর বাড়িতে যান। বঙ্গবন্ধুর সেনবাগে আগমনের ৫২ বছর ও স্বাধীনতার ৫০ বছরে একে একে দিন,সপ্তা, মাস ও বছর পেরিয়েছে। অনেক সরকার ক্ষমতায় আসা-যাওয়া করেছে, কিন্তু কেউ খবর নেয়নি ওই সড়কটির উন্নয়নে।
অবশেষে সাবেক (এমএলএ )টি.আই.এম.নুরুজ্জামান চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্রবধূ রাশেদা আক্তারের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবছর সেনবাগ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ জাফর আহম্মদ চৌধুরী ওই সড়কটি ব্রিক সলিং করে দেন।
সেনবাগ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ জাফর আহম্মদ চৌধুরী জানান, তিনি ক্ষমতায় এসেছেন মাত্র দুই বছর। তিনি এসেই ঐতিহ্যবাহী, প্রবীণ ও ক্ষেতিসম্পন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব,৬৯’র গণআন্দোলনে শহীদদের কবর সংরক্ষন, স্বাধীনতা সংগ্রামের অবদান রাখা ব্যাক্তিদের খুজে বের করে তাদের নামে রাস্তার নামকরণ করছেন করছেন তিনি।
রাস্তাটির উন্নয়ন কাজ করা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আলম এ- ব্রাদার্সের স্বত্ত্বাধিকারী খোরশেদ আলম জানান,সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য এমএলএর বাড়ির রাস্তা করতে পেয়ে তিনি দারুণ খুশি। কেননা বর্তমান সরকার ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সদস্যদের স্বীকৃতি দিচ্ছেন এবং কাজের মূল্যায়ন করছেন।