নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা শনিবার সকাল ১১ টায় বসুরহাট পৌরসভার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার রাতে পুলিশ আমার দলের নীরিহ কর্মী ইকবাল চৌধুরী, মোঃ লিটন, একরামসহ ৮ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। সারা রাত ডিবি পুলিশ, অন্যান্য বাহিনী আমার নেতা-কর্মীদের প্রত্যকের বাড়ীতে হানা দিচ্ছে এবং নিরাপরাধ নেতা-কর্মীদের পিতা ও আত্মীয়-স্বজনদের মারধর করছে।
তিনি বলেন গত মঙ্গলবার রাতে নির্বিচারে প্রতিপক্ষ আমার পৌরসভা কার্যালয়ে গুলিবর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণ রকে ল্যান্সার নিক্ষেপ করেছে সন্ত্রাসী ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে হায়ার করা জলদস্যু বাহিনীরা। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৫শতাধিক গুলি করেছে। এতে আমার কর্মীরা মানবপ্রাচীর করে আমার গায়ের ওপর শুয়ে আমাকে প্রাণে রক্ষা করেন। আমার সাথে থাকা আমার ৬০জন দলীয় নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। শুনেছি নোয়াখালী জেলা আ’লীগকে কোম্পানীগঞ্জের বিষয়ে তদন্ত করে দলীয় রিপোর্ট দেওয়ার জন্য। আমি আমাদের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী দিয়ে কোম্পানীগঞ্জের ঘটনায় দলীয়ভাবে তদন্তবার দেওয়ার আহ্বান জানাই। জেলা আ.লীগ কমিটি এখন অনুমোধন হয়নি। তাছাড়া যারা আমার বিরুদ্ধে হামলা করেছে ঐ কমিটি তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে। তাই তাদেরকে দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না।
কাদের মির্জা আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার দাবী মুজাক্কির ও চরফকিরা ইউনিয়নের সিএনজি চালক আলা উদ্দিন হত্যাসহ যত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এগুলোর বিচার বিভাগীয় কমিটি করে তদন্ত অথবা এনএসআই ও ডিজিএফআইকে তদন্তেরবার দেওয়া হোক। নোয়াখালীর প্রশাসন দিয়ে তদন্ত করলে নিরপেক্ষ তদন্ত আশা করা যায় না। কারণ অপশক্তিরা নোয়াখালী প্রশাসনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, একরাম চৌধুরীর বাড়ীতে দফায় দফায় বৈঠক চলছে, আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যা করার জন্য। নোয়াখালীর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম একজন মেরুদন্ডহীন প্রাণী, তার কারণে একরাম আকাম-কুকাম করছে। দুর্নীতি ও অনিয়ম করে একরাম টাকা বেশী খায়, সেলিম কম হলেও খান। মির্জা কাদের আরও বলেন,আমি সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ইভিএম ভোটে কাস্টিং ভোটের ৭৭ভাগ ভোট পেয়েছি। আমার এ জনপ্রিয়তায় ইর্ষাম্বিত হয়ে আমার প্রতিপক্ষরা নিজাম হাজারি ও একরাম চৌধুরীরসাথে এক হয়ে সবাই আমার বিরোধিতা করছে। আমার বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্র হোক আমি সব সময় সত্য কথা বলে যাবো। ওদিকে ডিবি পুলিশ, থানা পুলিশ, অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযানে অনেক সাধারণ মানুষ ও নাজেহাল হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে অস্ত্রধারী প্রকৃত সন্ত্রাসীরা তদের গোপন আস্তানায় দক্ষিণাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে বলে এলাকাবাসী ও একাধিকসূত্রে জানা গেছে।