ভোলার তজুমদ্দিনে নির্মানাধীন একটি প্রাথমিক বিদ্যালযের ভবনের সেফটিক ট্যাংকের ভিতরে নেমে সাঁটারিংয়ের কাঠ-বাঁশ খুলতে গিয়ে তিন শ্রমীকের মর্মান্তিত মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রমীকরা হলেন, স্থানীয় মোহাম্মদ আলী মিস্ত্রির ছেলে আলাউদ্দিন (৪০), উত্তর খাসেরহাট এলাকার খোকন সাজির ছেলে শামিম (২৫) এবং আবদুস সামাদের ছেলে রাকিব (২৪)।
খবর পেয়ে তজুমদ্দিন ফায়ার সার্ভিস দলের সদস্যরা নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ভোলা মর্গে নিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পল্লব কুমার হাজরা জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং তদন্তে কেউ দোষী প্রমান হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো জানান, ভোলার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে আপাতত ২০ হাজার করে নগদ টাকা দেয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানাগেছে, সকাল ৯টার দিকে ৮৪নং দক্ষিন পশ্চিম চাঁচড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন ভবনের সেফটিক ট্যাংকের সাঁটারিংয়ের কাঠ-বাঁশ খুলতে ভিতরে নামে তিন শ্রমীক। পরে বিষাক্ত বায়ূতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তারা। এ সময় উপরে দাঁড়িয়ে ছিলো আরেকজন শ্রমীক মোঃ ফারুক। তিনি ভিতরের ৩ জনের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন তাদের নিথর দেহ পরে রয়েছে ট্যাংকির মধ্যে। পরে বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা ভিতরে নেমে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করে।
তজুমদ্দিন উপজেলা প্রকৌশলী অহিদুজ্জামান জানান, এমডিএসপি’র (মাল্টিষ্টোরেট ডিজাষ্টার ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট) আওতায় মেসার্স তমা কনাস্টশনের ঠিকাদারী প্্রতিষ্ঠান চারতলা ফাউন্ডেশনের ওই স্কুল ভবনটির দুই তলার নির্মান কাজ চলমান। দায়িত্ববান ব্যক্তির উপস্থিতি ছাড়া কীভাবে এই শ্রমীকরা সেফটিক ট্যাংকির ভিতরে কাজে নেমেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।