নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ৯মার্চ মঙ্গলবার রাতে বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় আলাউদ্দিনকে হত্যায় নোয়াখালী আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছে নিহতের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন রাজু। যাহার পিটিশন মামলা নং-১৬৮। আদালত আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ওসিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
রোববার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামী, ছোট ভাই মোঃ শাহাদাত হোসেন ও মেয়রপুত্র তাশিক মির্জা কাদের ও সহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০জন কে আসামি করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের ২নং আমলী আদালতের বিচারক এস.এম মোছলেহ উদ্দিন মিজানের আদালতে নিহতের ভাই রাজু হত্যা মামলা দায়ের করে। বাদী রাজুর পরিচয়পত্র আদালতে উপস্থাপন না করায় মামলার শুনানি হয়নি। বিকেল ৪টায় নোয়াখালী ২নং আমলী আদালতের বিচারক এস.এম মোছলে উদ্দিন মিজান বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় কোন মামলা আছে কিনা তা ১৫ দিনের মধ্যে জানানোর জন্য ওসি মীর জাহেদুল হক রনিকে নির্দেশন দেন। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট হারুনুর রশীদ হাওলাদার। এর আগে দু’দফা কোম্পানীগঞ্জ থানায় আলাউদ্দিন হত্যা মামলা দায়ের করতে গেলে মামলাটির ত্রুুটি বিচ্যুতি থাকায় মামলা গ্রহণ করা করেনি কোম্পানীগঞ্জ থানাপুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি মির্জার নেতৃত্বে অন্য আসামিরা পিস্তল, শর্টগান, রামদা ও লোহার রড নিয়ে অর্ধ-শতাধিক ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় ৪নং আসামি নাজিম উদ্দিন বাদল তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আলা উদ্দিনের পেটে গুলি করে এবং ৫নং আসামি নাজিম উদ্দিন মিকনসহ তাদের সমর্থকরা এলোপাতাড়ি গুলি করে। পরে ৬নং আসামি কাঞ্চন তার সাথে থাকা লোহার রড আলা উদ্দিনের পেটে ঢুকিয়ে দিয়ে চলে যায়। আলা উদ্দিনকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১১টায় কর্বত্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজার নামক স্থানে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার গাড়ি বহরে হামলা ও গুলি বষর্ণের ঘটনায়, কাদের মির্জার অনুসারী বসুরহাট পৌরসভা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক গোলাম ছারওয়ার আ.লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজকে প্রধান আসামি করে রোববার সকালে ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৪৫-৫০জন অজ্ঞাত করে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ ২নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বিকেল ৫টা তার নিজস্ব ফেইজবুকে লাইভে এসে বলেন, ফেনী ও নোয়াখালী অপরাজীতির হোতা নিজাম হাজারী ও একরাম চৌধুরী একসাথ হয়েছে। ইতোমধ্যে তরুন সাংবাদিক মুজাক্কিরকে হত্যা করা হয়েছে, আমাকে পৌর কার্যালয়ে এসেছে হত্যার উদ্দেশ্যে। আমার হত্যা করতে না পেরে নিরীহ সিএনজি চালক আলা উদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে। আলাউদ্দিনকে হত্যা করে উল্টো আমি আমার ছোট ভাই শাহাদাত ও আমার ছেলে তাশিক মির্জাসহ আমার ১৬৪জন দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করে। আলাউদ্দিনের মৃত্যু যদি পৌরসভা কার্যালয়ে হতো তবে এখানে তার রক্তের চিহৃ পাওয়া যেত। কে বা কাহারা তাকে মেরে পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে ফেলে দিয়ে আমাদের ওপর দায় ছাপাচ্ছে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট দাবী জানাচ্ছি বিচার বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি ডিজিএফআই ও এনএসআই এর মাধ্যমে তদন্ত করা।