বিদেশী গাভী পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন বাগমারার এক ছাত্রলীগ নেতা। তিনি আবদুল মজিদ ভবানীগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক। আবদুল মজিদ তার নিজ গ্রাম ভবানীগঞ্জ পৌরসভার দানগাছী মহল্লায় ছোট পরিসরে বিদেশী গাভীর খামার গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে আবদুল মজিদের খামারে গাভীর সংখ্যা চারটি। এই চারটি গাভীই অস্ট্রেলিয়ান ফিজিয়ান জাতের। চারটি গাভীর পেটেই এখন বাছুর রয়েছে। প্রায় বছর দেড়েক আগে আবদুল মজিদ গড়ে একলাখ বিশ হাজার থেকে দেড় লক্ষ টাকা করে গাভীগুলো ক্রয় করেন। বর্তমানে এসব গাভীর বাজার মূল্য আড়াই থেকে সাড়ে তিনলাখ টাকা হবে বলে জানান আবদুল মজিদ। তবে আবদুল মজিদ গাভী গুলোর বাছুর প্রসব পর্যন্ত খামারে রাখেননা তার আগেই বিক্রি করে দিয়ে আবারও বকনা জাতের বিদেশী গরু কিনে খামারে লালনপালন করেন। এভাবেই টিকিয়ে রেখেছেন আবদুল মজিদ তার বিদেশী গাভীর খামার। এভাবে গাভী পালন করে সকল খরচ বাদে বছরে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা লাভ টিকে। আবদুল মজিদ তার খামার আরো বড়ো করার পরিকল্পনা করছেন। যাতে বিশ পঁচিশটি গরু আনায়েসে পালন করা যায়।
শুধু গাভী পালনই নয় আবদুল মজিদ একজন মৎস চাষীও। তার নিজস্ব সহ লীজ নেওয়া মিলে প্রায় ৫০/৬০ বিঘা আয়তনের পুকুর রয়েছে। এখানেও তিনি সফলতার সাথে মাছ চাষ করে বছরে কমপক্ষে আরো তিন লক্ষ টাকার মত মুনাফা করে থাকেন। একই কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি নাদিরুজ্জামান মিলন জানান, কর্ম উদ্যোমী আবদুল মজিদ যে কাজে হাত দেন সেখানেই সফলতা লাভ করেন। বাগমারা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইউসুফ আলী সরকার জানান, আবদুল মজিদ রাজনীতিতে যেমন সফল খামারী ও মৎসচাষী হিসাবেও তেমন সফলতা অর্জন করে চলেছেন। ছাত্রলীগে নেতা জেবাল আহম্মেদ ও সান্টু সহ একাধিক নেতা কর্মীরা জানান, মজিদ ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হিসাবে প্রচার প্রচারনা ও গণসংযোগ শুরু করেছেন। তাদের মতে আজকের ছাত্ররাজনীতিতে মজিদ ভাইয়ের মত সফল আত্মকর্মী ও সফল উদ্যোক্তা খুবই প্রয়োজন।