আশাশুনিতে ক্রয়কৃত জমি রেকর্ড প্রিন্ট পর্চা চেক দাখিলা ভোগদখলীয় জমি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা ও হুমকী ধামকীর অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে ও উপজেলার হাড়িভাঙ্গা গ্রামের মতিয়ার রহমান জানান, মৃত গোপাল মন্ডলের ৪ পুত্রের মধ্যে হৃদয় ১৮/৩/১৮ তাং ৫৯৬ নং দলিলে শফিকুলের কাছে ৪০ শতক, মৃত উদয় মন্ডল (এর পুত্র দীপঙ্কর) মতিয়ারের কাছে ২৪/৬/৯২ তাং ১৫৫০ নং দলিলে ২০ শতক ও রবিন ৭/১/১৯ তাং ৩৯ নং দলিলে মতিয়ারের কাছে ৩১ শতক বিক্রয় করেন এবং একই তারিখে রেজিঃ বায়না পত্রের (নং ৪০) মাধ্যমে ৪১ শতক জমি ৩১ ডিসেম্বর’২০ তারিখের মধ্যে রেজিষ্ট্রী করে দেওয়ার জন্য বায়নাপত্র করেন। বায়না পত্রের তারিখ উত্তীর্ণ হওয়ায় মতিয়ার রহমান বিজ্ঞ আদালতে সমুদয় টাকা পরিশোধ করে জমির মালিক হন। এসএ ২৭২ খতিযানে ৬০৮, ৬০৯, ৬১০, ৬১১ ও ৬১২ দাগে ক্রয়কৃত ১.৩২ একর জমি প্রিন্ট পর্চা হয়েছে, মিউটিশান ও চেক দাখিলা কেটে তারা ভোগদখলে আছেন। ৬১২ দাগের (বর্তমান ২৩১৮) ১২ শতক জমি গোপালের ৪ পুত্র ৩ শতক করে প্রাপ্য এবং বাদী সুদয় আদৌ একক ভাবে ৬১২ দাগের ১২ শতক জমি একক ভাবে দখল করবেন না মর্মে বিজ্ঞ আদালত (দেং ১২৬ তাং ২০/৯/০১) উল্লেখ করেছেন। মতিয়ার ৬১২ দাগে রবিন থেকে ৩ শতক ও উদয়ের পুত্র দীপঙ্কর থেকে ১ শতক জমি পাবেন। অপরদিকে সুদয় তার ৩ শতক জমির মধ্যে সুকেশ সরকার দিং কাছে ২ শতক (দলিল ২৩৭৪, তাং ২/৯/১৯) ও শান্ত মল্লিকের কাছে ১ শতক জমি বিক্রয় করেছেন। ক্রেতারা জমির দখলে আছেন। ৬১২ দাগে সুদয়ের কোন শর্ত না থাকলেও মতিয়াররা জমি ঘেরাবেড়া দিতে গেলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন। এনিয়ে থানায় অভিযোগ হলে ওসি উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে শান্তির্শখলা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত দেন। মতিয়ার দিং সেই থেকে কার্যক্রম হতে বিরত থাকলেও প্রতিপক্ষ নানা ভাবে হুমকী ধামকী ও জমি জবর দখলের ষড়যন্ত্র ও তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হেয় প্রতিপন্নকর অপপ্রচার, সংবাদ প্রকাশ করে শান্তিভঙ্গের পথ বেছে নিলে মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে অতিঃ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পি- ৫৪৯/২১ মামলা রুজু করেছেন।