জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলায় ৭বছরের মক্তবের শিশু ছাত্রীকে ধর্ষন মামলায় মসজিদের ইমামকে যাবজ্জীন কারাদ- দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত।
সোমবার (১৫মার্চ) বেলা ১২টা ১০ মিনিটে এক জনাকীর্ণ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিজ্ঞ বিচারক এম আলী আহমেদ এই রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষনার পর আসামি হাফেজ মো: সাইফুল ইসলাম (২২)কে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো: আকরাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন সাজা প্রাপ্ত আসামি হাফেজ মো: সাইফুল ইসলামের বাড়ি জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে বাসিন্দা মো: সাহার আলী ওরফে ছাহার আলীর এর ছেলে। সে মোহাম্মদপুর পূর্ব পাড়া জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে হাফেজ মো: সাইফুল ইসলাম একজন নারী লোভী ও চরিত্রহীন প্রকৃৃতির লোক। তিনি ধর্ষনের শিকার ওই ছাত্রীর দাদার বাড়িতে থেকে মোহাম্মদপুর পূর্ব পাড়া জামে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াতেন এবং সপ্তাহে ছয়দিন ভোর বেলা মসজিদের বারান্দায় গ্রামের ছোট শিশুদের কায়দা পড়াতেন।
২০১৮ সালের ১৮ই নভেম্বর সকালে মক্তবে কায়দা পড়া শেষ করে বাড়ি ফিরে আসে ৭ বছরের বয়সের শিশু শিক্ষার্থী। পরে ৮টার দিকে ইমাম হাফেজ মোঃ সাইফুল ইসলাম তার ঘর পরিষ্কার করার কথা বলে বাড়ি থেকে আবার ডেকে নিয়ে যায়। পরে নিজের শয়ন কক্ষে নিয়ে শিশু ছাত্রীকে জোড়পূর্বক ধর্ষন করে ইমাম সাইফুল। এই ঘটনায় ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর ইসলামপুর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন শিশু ছাত্রীর বাবা।
মামলায় ১২ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে আসামি হাফেজ মোঃ সাইফুল ইসলামের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১) ধারায় ধর্ষন অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় আসামি সাইফুল ইসলামকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি মো: আকরাম হোসেন এবং আসামীর পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী মোঃ আব্দুল্লাহ।