সাতক্ষীরার কলারোয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গৃহবধূ শাহিদা খাতুন (৫৫) এর গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে সন্ত্রাসীরা। আহত গৃহবধু উপজেলার কুমারনল গ্রামের শুকুর আলীর স্ত্রী। রোববার (১৪মার্চ) রাত ৮টার দিকে ওই ঘটনাটি ঘটেছে বলে আহত গৃহবধূ শাহিদা খাতুন সাংবাদিকদের জানান। তিনি এ ঘটনায় কলারোয়া থানায় ৯জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুমারনল গ্রামের শাহিদা খাতুন তার পড়িত অসুস্থ স্বামী শুকুর আলী ও ৩ সন্তান নিয়ে ওই এলাকায় বসবাস করে আসছেন। তাদের প্রায় সাড়ে ৫বিঘা জমি আছে। সেখানে মাত্র ৮শতক জমিতে তারা ঘর বেধে বসবাস করেন। এই জমির মধ্যে থেকে প্রায় সব জমি বিভিন্ন মানুষ জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। এ ছাড়া ওই এলাকার প্রভাবশালী রবজুদ্দীন, রিয়াজ সরদার, ইকরামুল ইসলাম, মাহমুদ ও মামুনুর রশিদ তাদের জমি জবর দখল করার জন্য বিভিন্ন সময় হয়রানী করে আসছে। এ বিষয় নিয়ে সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। এর মধ্যে তারা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রোববার (১৪মার্চ )রাত ৮টার দিকে ওই বিরোধ পূর্ন জমিতে আদালতের আদেশ অমান্য করে একটি গভীর পানির কল বসানোর চেষ্টা করিলে তাতে বাধা দিতে গেলে গৃহবধু সাহিদা খাতুনকে একা পেয়ে প্রভাবশালী রবজুদ্দীনের ডাকচিৎকারে রিয়াজ সরদার, ইকরামুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, মাহমুদ, সাজিদা খাতুন, লাবনী খাতুন, রিক্তা খাতুন, শাহানারা বেগম, লাইলী খাতুন দলবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় ঝাপিয়ে পড়ে। এ সময় তারা গৃহবধু শাহিদা খাতুনকে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে নীলা ফোলা জখম করে। একপর্যায়ে তাকে ধরে টেনা-হেচড়া করে শাড়ী, ব্লাউজ ছিড়ে শ্লীলতাহানি করে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তাদের অত্যাচারে গৃহবধূ জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা ফেলে রেখে চলে যায়। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে গৃহবধূ শাহিদা খাতুনকে উদ্ধার করে ওই রাতে কলারোয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এসকল ঘটনা উল্লেখ্য করে আহত গৃহবধূ শাহিদা খাতুন বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় ৯জনের নামে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।