খুলনার পাইকগাছায় একের পর অবৈধ কয়লা তৈরীর চুল্লী গড়ে ওঠায় পরিবেশ বিপর্যয় তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশ এবং স্থানীয় জনগণের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসন অবৈধ কয়লা চুল্লী বন্ধে অভিযানে পরিচালনা করেন। ফলে উপজেলার চাঁদখালীর অবৈধ কয়লা তৈরীর কারখানা বন্ধ করে দেওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহরিয়ার হক কে হুমকি দেওয়া অভিযোগে থানায় জিডি হয়েছে।
প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্ত্বাবধায়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহরিয়ার হক ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় গত ১১মার্চ বৃহস্পতিবার উপজেলার মাহমুদকাটী ও ঁচাঁদখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর কারখানা পরিচালনার মাধ্যমে এলাকার পরিবেশ দূষণ করার অভিযোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার হক চাঁদখালীতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৬টি কয়লা তৈরীর চুল্লী বন্ধ করে দেন।
প্রশাসনের এমন অভিযানে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ সাধুবাদ জানালেও মেনে নিতে পারেনি কতিপয় ব্যক্তিরা। অভিযান শেষে ফেরার সময় পথিমধ্যে ০১৮৩৭-৫২৭২১৯ ও ০১৬৮৬-৩৯৫০০৭ নং দুটি নম্বর থেকে শহীদ গাজী নামে জনৈক ব্যক্তি কয়লা চুল্লীর মালিক পরিচয় দিয়ে কেন চুল্লী বন্ধ করা হলো মর্মে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র শাহরিয়ার হকের নিকট জানতে চান। তিনি এ বিষয়ে কথা বলার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেন। পরের দিন ১২ মার্চ সন্ধ্যার দিকে ০১৭১২-৮৮৫৯১৩ ও ০১৪০১-১৭৫০১৫ নং দুটি নম্বর থেকে ফোন দিয়ে ভূমি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হকের নিকট আক্রমনাত্মক ভাষায় কেন চুল্লী নষ্ট করা হলো এবং কার নির্দেশে এটি করা হলো জানতে চায়, পাশাপাশি এলাকার সকল চুল্লী ধ্বংস করা না হলে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে মর্মে হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শাহরিয়ার হক পাইকগাছা থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। যার নং-৭১২, তাং-১২/০৩/২০২১। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কয়লা তৈরীর সকল চুল্লী ধ্বংস করা হবে এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।