ভৈরবে ভোটারদের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে সোমবার এই কার্যক্রমের প্রথম দিনে সকালে শিমুল কান্দি হাই স্কুল মাঠে ভোটারদের মাঝে এ স্মার্ট কার্ড বিতরন করে ভৈরব উপজেলা নির্বাচন অফিস।
সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে এ কার্ড বিতরণ। ২০১৯ সালে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমের ভোটারদের মাঝে এ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায় ক্রমে সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ভোটারদের মাঝে এ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।
তবে এ স্মার্ট কার্ড বিতরণে ভোটারদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কার্ড নিতে আসা ভোটাররা জানান, কার্ড বিতরনে দায়িত্বে থাকা নির্বাচন অফিসের লোকজন প্রত্যেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। জন প্রতি ২০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর পযন্তর্ প্রায় শতাধিক জনের কাছ থেকে এই টাকা নেওয়ার হয়েছে। তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি এলাকার লোকজনের মধ্যে জানাযানি হলে নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটরে সাথে হট্রগোল বাধে। হট্রগোলোর একপর্যায়ে টাকা নেওযার অপরাধ থেকে রেহায় পেতে নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাজমুল নিজেকে বেসরকারী একটি দোকানের লোকবলে দাবী করে।
তবে প্রতিবাদের মুখে দুপর ১২টার পর অপৃতিকর ঘটনা এরাতে টাকা ছাড়া চলে ভোটারদের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরনের কাযক্রম।
এ বিষয়ে নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাজমুল টাকা নেয়ার ব্যাপারে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে বলেন ,ভক্সের জন্য তিনি টাকা নিচ্ছেন।
শিমুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চ্যেয়ারম্যন যোবায়ের আলম দানিস বলেন, টাকা নিয়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণে ভোটারদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে আমি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবহিত করি এবং অর্থের বিনিময়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণ না করতে বলি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা বলেন, টাকা নেয়ার বিষয়ে প্রথমে অস্বীকার করেন, যে টাকা নিয়েছে সে তার অফিসের কেউ নন। নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাজমুল কে জানতে চাইলে পরক্ষণে জানান সে তার অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। পরে তিনি ট্রেনিংয়ে আছেন বলে ফোনটি কেটে দেন।