নেত্রকোণার কলমাকান্দা ব্রাক অফিস এসে রোববার প্রেম করে বিয়ের সাত বছর পর স্ত্রী দিপাকে তালাক দিলো আলমগীর নামে প্রেমিক এক যুবক। দেনমহর দিলো সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা।
কলমাকান্দা ব্রাক অফিসে কমরর্ত মানবাধিকার কর্মী চামেলী খাতুন সংবাদকে জানান, উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মো. জালাল উদ্দিনের পুত্র মো. আলমগীর হোসেনের (৩৪) প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পরিবারের সম্মতি ছাড়া ২০১৪ সালের ৫ এপিল একই ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী কোয়ারপুর গ্রামের সামছুল হকের কন্যা কলেজছাত্রী সুরাইয়া ইয়াসমিন দীপা(২৬) কে বিয়ে করে। কিন্তু আলমগীরের পরিবার এ বিয়ে মেনে না নেওয়ার বিয়ের তিন মাস পর আলমগীর ঢাকায় চলে যায়। এরপর দীপাকে তার বাবা ভরণ পোষণ করতে থাকে। পরে ৬ বছর পর সুরাইয়া ইয়াসমিন দীপা কলমাকান্দা ব্রাক অফিসে এসে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। থেকে দিপা তার পিতালয়ে বসবাস করতে থাকেন। আলমগীর তার কোন খোঁজ খবর না নেওয়ার ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর কলমাকান্দা ব্রাক অফিসে এসে সুরাইয়া ইয়াসমিন দীপা একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর আমরা আলমগীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করি। অবশেষে ১৪ই মার্চ রোববার উভয় পক্ষের সম্মতিতে কলমাকান্দা ব্রাক অফিসে এসে আলমগীর হোসেন স্ত্রী সুরাইয়া ইয়াসমিন দীপাকে লিখিত ভাবে তালাক দেন এবং তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীকে দেনমহর বাবদ ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলার কোয়ারপুর গ্রামের সুরাইয়া ইয়াসমিন দীপা তিনি সংবাদকে বলেন, ঘটনা সত্য। আমি দেন মহর বাবদ ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নগদ পেয়েছি।