আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুরে ধান ক্ষেতে লবণ পানি ঢুকিয়ে ধান নষ্টের উদ্দেশ্যে পাশের ক্ষেতে লবণ পানি ঢোকানোয় কৃষক নজরুল ইসলাম। দরগাহপুরের শ্রীধরপুর মৌজায় এ ঘটনা ঘটেছে।
শ্রীধরপুর মৌজায় এসএ ১৬৩, ডিপি ৫৭৩ খতিয়ান ও এসএ ১১৪ খতিয়ানে নজরুল, লুৎফর, রাকিদুল ও আব্দুল্লাহ তাদের জমি পরস্পরে এ্যাওয়াজ করে মৎস্য চাষ ও ধান চাষ করে ভোগ দখল করে আসছেন। এবছর ইরি ব্লকে ধান চাষ করার পর জমির এ্যওয়াজ না রাখার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তখন ইরি ব্লকে ধান চাষ করার কারণে ধান কেটেই এ্যাওয়াজ বাতিল করে স্ব-স্ব জমিতে দখল কার্যকর করার কথা হয়। ইতোমধ্যে মৎস্য ঘেরের এ্যাওয়াজ বাতিল করে স্ব-স্ব দখল বুঝে নেওয়া শুরু হয়েছে। আব্দুল্লাহ তার জমির কিছু অংশ ধান ক্ষেতের মধ্যে থাকায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। এনিয়ে স্থানীয় ভাবে বসাবসি হলে ধান কেটে দখল ছাড়ার বিষয়টি মাথায় আসে। তখন ধান ক্ষেতের জমি বাবদ মালিক পক্ষ আব্দুল্লাহকে ৩ মাসের হারির কথা হলে ধান চাষী দেড় মাসের টাকা দিতে সম্মত হন। কেননা তার অংশে মৎস্য ঘেরেও ২ মাস পর ছাড়া হচ্ছে। হঠাৎ করে ১৩ মার্চ আব্দুল্লাহ তার মাছের ঘেরে লবণ পানি উঠাতে শুর করেন এবং ধান ক্ষেতের বাঁধ কেটে দিয়ে একাকর করে দেন। ফলে লবণ পানি উঠানোর কারণে যে কোন সময় ধান ক্ষেতে ঢুকে ফসল নষ্ট হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নজরুল ইসলাম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আব্দুল্লাহ জানান, তার ৩ বিঘা ৫ কাঠা জমি ধান ক্ষেতের মধ্যে আছে। ধান কাটা পর্যন্ত সময় দিলে সঙ্গত কারণে কমপক্ষে ৩ মাসের হারির টাকা পাওয়া হয়। তারা পাশের ৮ বিঘা জমির মধ্যে ১ বিঘা ৫ কাঠা বের করে নিয়েছে, সুতরাং আমার জমিও বের করে দেওয়ার বিকল্প নেই। হয় তারা হারির টাকা দিক নয়তো ধানের ভাগ দিয়ে ধান কাটার পর জমি বের করে দিলে সমস্যা থাকেনা।