মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের ইছাপুরা ইউনিয়নের কুসুমপুর গ্রামে অবৈধভাবে জমি ও সাথে খাল ভরাট করছে এক প্রভাবশালী। স্থানীয়দের বাধা মানেনি কুসুমপুর গ্রামের সাত্তার শেখের ছেলে প্রভাবশালী মনির শেখ (৩৮)। সে হোতার চর ও কুসুমপুরের ২ টি চকে কয়েক হেক্টর ফসলী জমিতে পানি প্রবাহের খালটি ভরাট করছিলেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ইছাপুরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে মাটি ভরাট বন্ধ করে দেন।
এলাকাবাসী অনেকে জানান, গত দুই বছর ধরে তার জমি ও সাথে রাস্তার পাশে খালসহ ভরাট করার পায়তারা করে মনির শেখ। এলাকাবাসীর বাঁধায় ভরাট করতে না পেরে কিছুদিন আগে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবদুল মতিন হাওলাদারের অনুমতি নেয়। নিচ দিয়ে খালের পানি যাওয়ার জন্য সেখানে মোটা পাইপ দিতে বললেও সে তা করেনি। পানি প্রবাহ বন্ধ হলে এলাকার বেশ কিছু ফসলী জমি নষ্ট হয়ে যাবে। এতে করে সমস্যায় পরবে কয়েকশত কৃষক। তাছারা বৃষ্টি হলে বাড়ি ঘরের পানি নামতে পারবে না এবং পানির প্রয়োজন হলেও খাল দিয়ে পানি আসবে না।
মনির শেখ জানান, আমাদের নিজস্ব জমি সাড়ে ২৮ শতাংশ। আমার মায়ের নামে। জমিটি কোন কাজে আসছে না তাই ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ করবো। ইছাপুরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিষয়টি জানেন, তার অনুমতি নিয়ে ভরাট করছি। এটা কোন সরকারি খাল না তাই আমাদের জায়গা আমরা ভরাট করছিলাম। নায়েব কাগজপত্র নিয়ে যেতে বলছে। কাজ বন্ধ রেখেছি।
ইছাপুরা ইউনিয়ন ভুমি অফিসের নায়েব (উপ সহকারি কর্মকর্তা) আবদুস সামাদ জানান, কুসুমপুর থেকে হোতার চর পর্যন্ত রাস্তার পাশের খালটি ফসলী জমির পানি প্রবাহে অন্যতম। কুসুমপুর ব্রীজের উত্তরে তার জমিসহ খাল ভরাট করতে ছিলো। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। তারা কোন অনুমতি কাগজ দেখাতে পারে নি। তারা দাবী করছে তাদের জমি। তাই তাদের কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেছি ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) এর সাথে যোগাযোগ করতে বলেছি।
ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আবদুল মতিন হাওলাদার জানান, আমি তো অনুমতি দিতে পারি না। তাছারা আমি তাকে চিনি না। বিষয়টা আমার জানা নাই।