ব্রিটেনে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূদ শামীমা বেগম এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্রিটেনে ফেরার। ১৫ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে লন্ডন থেকে সিরিয়ায় গিয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেন তিনি। কিন্তু পরে ভুল বুঝতে পেরে ফিরতে চান লন্ডনে। তবে লন্ডন তাকে ফিরিয়ে দেয়। তারপর থেকে সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেনি তিনি। সেজন্য বদলে ফেলেছেন নিজের পোশাক-পরিচ্ছদও। বোরকা-নেকাব ছেড়ে তিনি এখন পুরোদস্তুর পশ্চিমা পোশাকে অভ্যস্ত। ফ্যাশনেবল সানগ্লাস, রংচঙে চুলে তাকে এখন চেনাই যায় না। পশ্চিমা এ পোশাক-পরিচ্ছদ মূলত ২১ বছর বয়সী শামীমার ব্রিটেনে টিকে থাকার চেষ্টা। উত্তর-পূর্ব সিরিয়াযর একটি রোজ ক্যাম্প থেকে এক সাপ্তাহিক ছুটির দিনে তার বেশ কয়েকটি ছবি তোলা হয়। সেসব ছবিতে তাকে পুরোদস্তুর পশ্চিমা নারীদের মতো দেখা গেছে। তবে খুশিমনে ছবি তুলতে দিলেও তিনি মিডিয়ার সামনে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তার আইনজীবী এখনও তাকে যুক্তরাজ্যে বৈধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত মাসে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট জাতীয় সুরক্ষার কথা চিন্তা করে জানায়, তার নাগরিকত্ব বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্যও শামীমা যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারবেন না। তিনি এখন রোজ ক্যাম্পে এমন সব নারীদের সঙ্গে থাকছেন যারা নেকাব-বোরকা পরা বাদ দিয়েছে। পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমির ছাত্রী শামীমা বেগম ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আরও দুই বান্ধবীসহ সিরিয়ায় পাড়ি দেন। সেখানে আইএসে যোগ দিয়ে তিনি ডেনমার্কের বংশোদ্ভূত এক ধর্মান্তরিত ‘জিহাদি’কে বিয়ে করেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আল-হওর শরণার্থীশিবিরে শামীমার দেখা পান এক ব্রিটিশ সাংবাদিক। সাক্ষাৎকারে শামীমা যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার আকুতি জানান।