ভৈরবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এতে দূভোর্গ বেড়েছে রোগীদের। দীর্ঘ ১ বছরের অধিক সময় ধরে হাসপাতালটিতে গাইনী, চক্ষু, চর্ম,শিশু বিশেষজ্ঞ,নাক,কান গলাসহ ৭টি পদে চিকিৎসক না থাকায় এ সকল পদে রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতালটিতে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এক্স-রে মেশিন ও টেশনিশিয়ান না থাকায় রোগীদেরকে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে এক্স-রে করতে হচ্ছে। হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সটি ও লক্কার-ঝক্কর অবস্থায়। এসব নানা সমস্যায় রোগীরা সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জানাযায়, ভৈরবে প্রায় ২ লাখের বেশি মানুষ রয়েছে। এ ছাড়া ও পার্শ্ববতী,কুলিয়ারচর,রায়পুরা ও বেলাব উপজেলার অধিকাংশ মানুষ এ হাসপাতালটিতে স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে থাকে। প্রতিদিন গড়ে বর্হিবিভাগে ৫/৬শ রোগী এবং আন্তঃবিভাগে গড়ে ৪০/৫০ জন রোগী স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে থাকে। এদের মধ্যে হার্ট, গাইনী, চক্ষু, চর্ম,শিশু বিশেষজ্ঞ,নাক,কান গলা রোগের সমস্য দেখা দিলে এসব রোগীদেরকে প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। এদের মধ্যে গরীব রোগীদের সংখ্যাই বেশি যারা সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার উপর নির্ভরশীল। গরীব রোগীরা অর্থের অভাবে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে না পারায় অনেকেই কষ্ট নিয়েই দিন-যাপন করেন।
শ্রী-নগরের রহিমা বেগম,আগানগরের কুলসুম,শিমুলকান্দি গ্রামের ফজিলা বেগম জানান তারা হার্টেও,চর্ম রোগের ও নাক,কান গলা রোগে চিকিৎসা নিতে এসে ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসা সেবা না নিয়েই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়েছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আক্লে আলীর স্বজন জানান এক্স-রে করার জন্য স্লিপ দিয়েছে ডাক্তার। এখানে হাসপাতালে মেশিন নষ্ট থাকায় বাহিরে কোন প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে এক্স-রে করতে হবে। এতে টাকা ও বেশি লাগবে পাশাপাশি কষ্ট বেশি করতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ( টিএইচও) মোঃ খোরশিদ আলম জানান, গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে হার্ট, গাইনী, চক্ষু, চর্ম,শিশু বিশেষজ্ঞ,নাক,কান গলাসহ ৭ জন চিকিৎসক পদোন্নতি পেয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় এ পদে এখনো লোকবল দেওয়া হয়নি। তাই এসকল রোগীদেও চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া এক্স-রে মেশিন ও টেশনিশিয়ানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশা করছি আগামী ২ মাসের মধ্যে এক্স-রে মেশিন ও টেশনিশিয়ান নিয়োগ দেয়া হবে।